ভুগছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা

আকিলা শুরুতেই ধাক্কা দেন বাংলাদেশকেএবার ইসুরু উদানার জোড়া আঘাত। ২১১ রানের লক্ষ্যে নামা বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়েছে ১১৩ রান করতেই। ১৫তম ওভারে উদানার দ্বিতীয় বলে রান আউট হন মাহমুদউল্লাহ। দুই বল পর সাইফউদ্দিনকে ক্যাচ বানান এই লঙ্কান বোলার।

তামিম দলে ফিরেছেন, উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গে ছিলেন গত ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা সৌম্য সরকার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১১ রানের টার্গেটে দারুণ শুরুর প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের কাছ থেকে। কিন্তু টানা দুই ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। সেই চাপ আর কাটাতে পারেনি বাংলাদেশ।

তামিম দলের বিপদে হাল ধরতে পারেননি (ছবি: বিসিবি)লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় বলে ছয় মেরে গ্যালারিকে উচ্ছ্বাসে ভাসান তামিম। কিন্তু প্রথম ওভারে কেবল ৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। অন্য প্রান্তে অনুজ্জ্বল ছিলেন সৌম্য। দ্বিতীয় ওভারে আকিলা ধনঞ্জয়ার শিকার হন তিনি রানের খাতা না খুলেই। পয়েন্টে জীবন মেন্ডিস এ ওপেনারের ক্যাচ ধরেন।

পরের ওভারে শেহান মাদুশানকার জোড়া আঘাতে শ্রীলঙ্কা চেপে ধরে স্বাগতিকদের। এ ডানহাতি পেসার তার দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় ও শেষ বলে মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনকে ফেরান। ছয় মেরে পরের বলেই মিড অনে থিসারা পেরেরার ক্যাচ হন মুশফিক (৬)। মাত্র ৩ বলে ৫ রানে শেষ হয় মিঠুনের ইনিংস, তার ক্যাচ ধরেন জীবন।

বিপদ কাটাতে মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ক্রিজে ছিলেন। কিন্তু পারেননি বেশিক্ষণ টিকতে তারা।
ইনজুরিতে প্রথম ম্যাচে ছিলেন না তামিম। সিলেটে ফিরলেন তিনি। কিন্তু অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে দলের হাল ধরতে পারলেন না এই ওপেনারও। ২২ রানে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়ে ফিরলেন তামিম। অভিষেক হওয়া আমিলা আপোনসোর শিকার হয়েছেন তিনি। পরের ওভারে আরিফুল হককে ফেরান জীবন মেন্ডিস।  তামিম ২৯ রানে কভার বাউন্ডারিতে আকিলার ক্যাচ হন, ২৩ বলের ইনিংসে দুটি করে চার ও ছয় মারেন তিনি। পরের ওভারে এলবিডাব্লিউ হয়ে আরিফুল ফেরেন ২ রানে। ৬৮ রানে বাংলাদেশ হারায় তাদের ৫ ব্যাটসম্যানকে।

এরপর উদানার জোড়া আঘাতে মাহমুদউল্লাহ ও সাইফউদ্দিনের প্রতিরোধ ভাঙে শ্রীলঙ্কা। উদানার ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ ফসকে জীবন পান সাইফ, কিন্তু মাহমুদউল্লাহ হারান উইকেট। নন স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে সিঙ্গেলের জন্য দৌড় দেন অধিনায়ক। সাইফ ছিলেন তার ক্রিজে অনড়। মাহমুদউল্লাহ ফিরে আসতে আসতেই মিড অন থেকে জীবনের থ্রো থেকে রান আউট করেন উদানা। ৪১ রান করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সাইফ ২০ রান করে বদলি ফিল্ডার ভ্যান্ডারসেকে ক্যাচ দেন।