একদিন আমরাই জিতব: সাকিব

এই উচ্ছ্বাস থাকলো না সাকিবদেরজয়টা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। ২ ওভারে ভারতের করতে হবে যে ৩৪ রান। সেখান থেকে দিনেশ কার্তিক একা হাতে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেলেন। তাতে আরেকবার হতাশায়-কান্নায় শেষ হলো বাংলাদেশের ফাইনাল যাত্রা। তবে ভেঙে পড়ছেন না সাকিব, ভারতের বিপক্ষে নাটকীয় হারের পরও বজ্রকণ্ঠে বলে গেলেন, ‘কোনও একদিন আমরাই জিতব।’

তীরের একেবারে কাছে গিয়েও জয়ের তরী ভিড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। যন্ত্রণা-হাহাকার সঙ্গী করে ‘ফাইনাল হারা’ দল হয়েই থাকতে হলো টাইগারদের। নিশ্চিত জেতা ম্যাচ শেষ বলের ছক্কায় ছোঁ মেরে নিয়ে গেছেন কার্তিক। এমন একটি ম্যাচে হারের পর হতাশা থাকলেও ইতিবাচক অনেক বিষয় যোগ হয়েছে বলে ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে রাসেল আর্নল্ডের কাছে জানিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব। যেগুলো কাজে লাগিয়ে বিজয়ের বেশে ফেরার অঙ্গীকার তার, ‘সবকিছু মিলিয়ে ভালো একটি ম্যাচ ছিল, যেখান থেকে আমরা অনেক ইতিবাচক বিষয় নিতে পারলাম। আশা করছি এখান থেকে নেওয়া শিক্ষা আমরা কাজে লাগাতে পারব এবং কোনও একদিন আমাদের দলই জিতবে।’

দুর্দান্ত এক ফাইনাল মঞ্চায়িত হয়েছে আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। ম্যাচটি দুদলেরই জেতার সম্ভাবনা ছিল বলে মনে করলেন এই অলরাউন্ডার, ‘ফাইনালে এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। সবকিছুই ছিল এখানে। আমরা চমৎকার খেলেছি, যে কেউ ম্যাচটা জিততে পারতো। তবে কৃতিত্বটা ভারতের, তারা যেভাবে খেলেছে, বিশেষ করে দিনেশ কার্তিক, অসাধারণ ব্যাট করেছে।’

নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হওয়ার পরও তাই দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট সাকিব, ‘আমরা জানতাম ১৬৬ রান ডিফেন্ড করাটা কঠিন হবে। তবে ড্রেসিং রুমে আমাদের সবার বিশ্বাস ছিল। প্রত্যেকেই ভালো করেছে, নিজ নিজ জায়গা থেকে শতভাগ দিয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি আশা করতে পারি না। হারটা অনেক কষ্টদায়ক, তবে আমরা ভালো খেলেছি।’

১৮তম ওভারে চমৎকার বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। মাত্র ১ রান খরচায় পেয়েছিলেন ১ উইকেট। যদিও পরের ওভারে সব হিসাব পাল্টে যায় রুবেল হোসেনের খরুচে বোলিংয়ে। এই পেসার দেন ২২ রান। যদিও রুবেলের ওপর কোনও দোষ চাপাচ্ছেন না সাকিব, বরং কৃতিত্ব দিচ্ছেন কার্তিকের ব্যাটিংয়ের, ‘আমরা আমাদের সেরা দুই বোলার দিয়েই বল করাতে চেয়েছিলাম ওই দুই ওভারে। রুবেল আগের ওভারগুলোতে চমৎকার বোলিং করেছে, ওই ওভারেও সে লেন্থ ঠিক রেখে বোলিং করেছে।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘কিন্তু কৃতিত্বটা আসলে পাবে দিনেশ কার্তিক ওর ব্যাটিংয়ের জন্য। প্রথম বল থেকেই সে আক্রমণাত্মক ছিল, আর ওই পরিস্থিতিতে প্রথম বলেই ছক্কা মারা....সব কৃতিত্ব তার।’