তার আগে সাকিব আল হাসানের স্পিন জাদুতে বাংলাদেশ ১২৯ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে দেয়। তারপর লক্ষ্যে নেমে ৭ বল খেলে রানের খাতা না খুলে বিদায় নেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের কাছে এলবিডাব্লিউ হন তিনি।
২ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়ে মুমিনুল হক ও লিটন দাসের ৩৮ রানের জুটিতে। কিন্তু তাদের দুজনের বিদায়ে শেষ হয়েছে দ্বিতীয় সেশনের খেলা। লিটন ৩৩ ও মুমিনুল ১৫ রানে আউট হয়েছেন।
রোস্টন চেজের বলে মুমিনুল এলবিডাব্লিউ হলে চা বিরতির ঘোষণা দেন আম্পায়ার। ক্রিজে ৩ রানে অপরাজিত আছেন সাকিব।
দিনের শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। আগের দিন ১ উইকেট নেওয়া সাকিব তৃতীয় দিন পান আরও ৫ উইকেট। ১৯ রানে ১ উইকেট হারিয়ে এদিন খেলা শুরু করে উইন্ডিজ। প্রথম সেশন তারা শেষ করে ৬ উইকেটে ১০৮ রানে। বাকি ৪ উইকেট স্বাগতিকরা হারায় দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই।
দিনের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ডেভন স্মিথকে (১৬) নুরুল হাসানের স্টাম্পিং বানান সাকিব। ১৯তম ওভারে বাঁহাতি স্পিনার একইভাবে কিমো পলকে (১৩) সাজঘরে পাঠান। পরের ওভারে সাকিব তুলে নেন ক্যারিবিয়ানদের চতুর্থ উইকেট। কিয়েরন পাওয়েল ১৮ রানে এলবিডাব্লিউ হন।
পরের ওভারে তাইজুল ইসলাম এলবিডাব্লিউ করে ফেরান শাই হোপকে (৪)। ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর স্বাগতিকরা প্রতিরোধ গড়েছিল শিমরন হেটমায়ার ও চেজের জুটিতে। হেটমায়ারকে (১৮) ফিরিয়ে ৩৩ রানের এই জুটি ভাঙেন আবু জায়েদ রাহী।
শেন ডাউরিচের সঙ্গে ২৩ রানে অপরাজিত থেকে চেজ প্রথম সেশন শেষ করেন। লাঞ্চ বিরতির পর বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। ৩২ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে বোল্ড হন চেজ। অধিনায়ক হোল্ডার মাত্র ১ রান করে মিরাজের পরের ওভারে আউট হন। ৪৫তম ওভারের প্রথম বলে মিগুয়েল কামিন্সকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন সাকিব। ওই ওভারের শেষ বলে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকেও ফেরান বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনার।
১৭ ওভারে ৫ মেডেনসহ ৩৩ রান খরচায় সাকিব নেন ৬ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া মিরাজ শেষ ইনিংসে পেয়েছেন ২টি।
প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিয়েছিল ১৪৯ রানে। ক্রিকইনফো