বিশ্বকাপের দরজা খোলা আছে স্টেইন-ফিল্যান্ডারের

ডেল স্টেইন ও ভারনন ফিল্যান্ডার২০১৯ বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বাকি ১৭ ওয়ানডে। একাদশে থাকা তো দূরে থাক, ডেল স্টেইন ও ভারনন ফিল্যান্ডার স্কোয়াডেই জায়গা পাচ্ছেন না! ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপে তাই তাদের না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। যদিও অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি দিয়েছেন আশার খবর, এখনও ২০১৯ সালের আসরের দরজা খোলা রাখছেন তিনি দুই পেসারের জন্য।

চোটের কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন স্টেইন। ফিট হয়ে ফিরে খেলেছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টেই। যদিও সুবিধা করতে পারেননি, দুই ম্যাচে পেয়েছেন মাত্র ২ উইকেট। এরপরও নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন এই পেসার। শন পোলককে সরিয়ে বসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার শীর্ষে। ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা এখন হ্যাম্পশায়ারের হয়ে খেলছেন টি-টোয়েন্টি লিগ।

দিনকয়েক আগে বিশ্বকাপের খেলার স্বপ্নের কথা শুনিয়েছেন স্টেইন। অভিজ্ঞতার কারণে নির্বাচকরা তাকে বিবেচনায় রাখতে পারেন বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যদিও লম্বা সময় ধরে ওয়ানডেতে না থাকায় স্বপ্নটা পূরণ হওয়াটা কঠিনই। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হতাশাজনক হারের পর খেলেছেন মাত্র ১২ ওয়ানডে, যার সবশেষটি ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

৫০ ওভারের ফরম্যাটে ফিল্যান্ডারের অবস্থা আরও শোচনীয়। অকল্যান্ডের সেমিফাইনালে বিতর্কিতভাবে কাইল অ্যাবটকে বাদ ফিল্যান্ডারকে একাদশে রাখায় কঠিন সমালোচনার মুখে পড়েছিল প্রোটিয়া টিম ম্যানেজমেন্ট। ২০১৫ বিশ্বকাপের ওই সেমিফাইনালের পর এই পেসার খেলেছেন মাত্র ২ ওয়ানডে, যার সবশেষটি ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পচেফস্ট্রুমে।

স্টেইন ও ফিল্যান্ডার দুজনই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অনেকটা সময় ধরে বাইরে। সেই কারণেই ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপে তারা বিবেচনায় থাকবেন কিনা, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। যদিও দু প্লেসি আশার কথাই শুনিয়েছেন তাদের। চোটের কারণে শ্রীলঙ্কা থেকে আগেভাগেই ফিরে আসা প্রোটিয়া অধিনায়ক কেপ টাউন বিমানবন্দরে বলেছেন, ‘অবশ্যই (খেলার সুযোগ আছে)...এখনও যে কেউ জায়গা নিতে পারে। এখনও তো অনেক সময় বাকি।’

কিন্তু বাস্তবতা বলছে অভিজ্ঞ দুই পেসারের ইংল্যান্ডে না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কাগিসো রাবাদার সঙ্গে দুর্দান্ত বল করছেন লুঙ্গি এনগিদি। ওপেনিং জুটিতে বল হাতে প্রতিপক্ষের কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছেন তারা। পারফরম্যান্সের এই ধারাটা যদি সচল রাখতে পারেন তারা, তাহলে স্টেইন-ফিল্যান্ডারের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণ হওয়াটা কঠিনই হবে।