আবার ঝলমলে সৌম্য-এনামুলের ব্যাট

এনামুল ও সৌম্যর ব্যাট হেসেছেএশিয়া কাপে হঠাৎ ডাক পেয়ে নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি সৌম্য সরকার। পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে ০ ও ৩৩ রান করা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ঘরোয়া ক্রিকেটে উজ্জ্বল। খুলনার হয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির পর সোমবার তৃতীয় রাউন্ডে আরেকটি পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেললেন তিনি। রংপুরের বিপক্ষে এদিনের ইনিংস সেরা ৭৬ রান করেন সৌম্য।

শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে স্বাগতিক খুলনার পক্ষে সৌম্য ছাড়াও ঝলমলে ছিলেন এনামুল হক বিজয়। এশিয়া কাপে উপেক্ষিত এই ব্যাটসম্যান রাজশাহীর বিপক্ষে সেঞ্চুরিতে শুরু করেন লিগ। তৃতীয় ম্যাচে পেলেন ফিফটির দেখা। দুজনের পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস ও একশ পেরোনো জুটিতে প্রথম দিন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে খুলনা। ৭ উইকেটে স্কোরবোর্ডে তারা জমা করেছে ২৭২ রান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা। তারপর ক্রিজে শক্ত হাতে দাঁড়িয়ে যান এনামুল ও সৌম্য। দুজনের ১১১ রানের জুটিতে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে স্বাগতিকরা। এনামুল ফিফটি হাঁকিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫৬ রানে সানজিত সাহার শিকার হন তিনি।

শক্ত এই জুটি ভাঙলেও তুষার ইমরানকে নিয়ে সৌম্য দলকে স্বস্তিতে রেখেছিলেন। কিন্তু তাদের ৪২ রানের জুটি ভাঙতে ছোটখাটো বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় খুলনা। সৌম্যর ১৪১ বলের ইনিংস সাজানো ছিল ৮ চার ও ১ ছয়ে।

২৬ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারানো খুলনাকে পথে ফেরান জিয়াউর রহমান ও মেহেদী হাসান। তাদের জুটিটি ছিল ৬৫ রানের। দিন শেষ হওয়ার ২.৪ ওভার আগে মেহেদী ৩৭ রানে আউট হন। ৩৩ রানে অপরাজিত জিয়াউরকে সঙ্গ দিতে নেমে রানের খাতা খুলতে পারেননি অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক।

রংপুরের পক্ষে সাজেদুল ইসলাম ৪ উইকেট নিয়ে দিনের সেরা বোলার।

এদিকে প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে বরিশাল ও রাজশাহী টসও করতে পারেনি। বৃষ্টিতে আউটফিল্ড ভেজা থাকায় বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে প্রথম দিন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।