রংপুরে এবার শুভাশীষের ঝলক

শুভাশীষ রায় নেন ৫ উইকেটআগের দিন সোহাগ গাজীর স্পিনে নাকানিচুবানি খেয়েছিল বরিশাল বিভাগ। দ্বিতীয় দিন রংপুরকে জবাব দিলেন শুভাশীষ রায়। জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে বরিশাল-রংপুরের পাল্টা জবাবে লিড নিতে পারেনি কেউই। প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে লড়াই করছে রাজশাহী।



রংপুর-বরিশাল

বিস্ময়কর মিল! জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোহাগ গাজীর স্পিনে প্রথম দিন রংপুর বিভাগ অলআউট ১৪৭ রানে। তারপর শুভাশীষ রায়ের পেসে দ্বিতীয় দিন একই স্কোরে গুটিয়ে গেছে বরিশাল বিভাগ। সোহাগের মতো সমান ৫ উইকেট নিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছেন রংপুরের এই পেসার।

ক্রিকেট গার্ডেনে প্রথম স্তরের ম্যাচে বরিশাল ৩ উইকেটে ৭৭ রানে মঙ্গলবার খেলতে নামে। আগের দিন ৩ উইকেট নেওয়া শুভাশীষ রাফসান আল মাহমুদকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান। কোনও রান যোগ না করেই দিনের প্রথম ৩ উইকেট হারায় বরিশাল।

শুভাশীষ তার পরের ওভারে সোহাগকে ফিরিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন। ৯৩ রানে ৭ উইকেট হারানো বরিশালকে টেনে তোলেন নুরুজ্জামান ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। তাদের ৪৩ রানের জুটিতে পথে ফেরে দল।

অধিনায়ক রাব্বি ২৭ রানে অপরাজিত থাকলেও বরিশাল শেষ ৩ উইকেট হারায় ১১ রানের ব্যবধানে। তাতে প্রথম ইনিংসে দুই দলের স্কোর সমান থাকে।

শুভাশীষ ২০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। দুটি করে পান রবিউল ইসলাম রবি ও তানভীর হায়দার।

দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে ৩ উইকেটে ৭৭ রানে দিন শেষ করেছে রংপুর। মনির একাই নেন ৩ উইকেট। রাকিন আহমেদ ৩০ রান করে এই ইনিংসের সেরা ব্যাটসম্যান। ২৭ রানে খেলছিলেন মাহমুদুল ইসলাম।

রাজশাহী-খুলনা

৭ উইকেটে ২৮১ রানে দ্বিতীয় দিন খেলতে নামে খুলনা। কিন্তু দ্রুত শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে তারা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৩০৯ রানে। ৩৭ রানে অপরাজিত থাকা জিয়াউর রহমানকে আক্ষেপে পোড়ান শফিউল ইসলাম। হাফসেঞ্চুরির জন্য ৭ রান দূরে থাকতে আউট হন জিয়াউর। দিনের ষষ্ঠ ওভারে তিনি মাঠ ছাড়েন ৪৩ রানে।

শফিউল তার পরের ওভারে ফেরান মইনুল ইসলামকে (১৩)। আল-আমিন হোসেন বোল্ড হন ৭ রানে।

শফিউল, ফরহাদ ও সানজামুল ইসলাম রাজশাহীর পক্ষে সমান ৩টি করে উইকেট পান।

জবাব দিতে নেমে ফরহাদ হোসেনের হাফসেঞ্চুরিতে লড়াই করে গেছে রাজশাহী। ৫ উইকেটে ২০২ রানে দিন শেষ করেছে তারা।

ওপেনার মায়শুকুর রহমানকে ফেরানোর পর ফরহাদকে ৫৬ রানে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান সৌম্য সরকার। রাজশাহীকে স্বস্তির শুরু এনে দিয়ে ৭ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন মিজানুর রহমান (৪৩)। উদ্বোধনীতে ৬১ রানের জুটি গড়েন তিনি। জুনায়েদ সিদ্দিকীও হাফসেঞ্চুরি করতে ব্যর্থ হন অল্পের জন্য। ৪৭ রান করেন তিনি।

সৌম্য ও আল আমিন দুটি করে উইকেট নিয়েছেন খুলনার হয়ে।