দলের পারফরম্যান্সে হতাশ মাশরাফি

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও হেরে হতাশ মাশরাফিভেন্যু বদল হলেও বদলায়নি বাংলাদেশের ভাগ্য। নেপিয়ারে প্রথম ওয়ানডেরই যেন পুনরাবৃত্তি ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ম্যাচে। দুটি ম্যাচের ফল একই—৮ উইকেটে হার। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে পর্যুদস্ত হয়ে নিউজিল্যান্ডে আরও একটি সিরিজ হেরে ভীষণ হতাশ মাশরাফি মুর্তজা।

ম্যাচ শুরুর আগে বৃষ্টি হওয়ায় হ্যাগলি ওভালের উইকেট হয়ে পড়েছিল পেস বান্ধব। বোল্ট-হেনরি-ফার্গুসন-নিশামদের সামনে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। ষষ্ঠ উইকেটে মিঠুন-সাব্বিরের ৭৫ রান ছাড়া বড় জুটি গড়ে ওঠেনি। তাই ২২৬ রানের সাদামাটা স্কোরে থেমে গেছে টাইগাররা। মার্টিন গাপটিলের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে একটুও সমস্যা হয়নি কিউইদের।

এক কথায় আগাগোড়া ব্যর্থ একটা দিন। ম্যাচ শেষে সঞ্চালকের সামনে তাই হতাশা লুকিয়ে রাখতে পারেননি মাশরাফি, ‘আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন একটা দিন গেছে। আমরা শুরুতেই উইকেট হারিয়েছি। একটি বাদে বাকি সব জুটি তিরিশের ঘরে আটকে ছিল। জুটিগুলো ষাটের ঘরে গেলে ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারতো। শুধু মিঠুন ভালো ব্যাট করেছে। আর বোলারদের মধ্যে ভালো করেছে মোস্তাফিজ।’

মিঠুনের ৫৭ আর সাব্বিরের ৪৩ ছাড়া আর কোনও ভালো ইনিংস নেই। তাই প্রতিপক্ষকে বড় টার্গেট দিতে পারেনি বাংলাদেশ। যে কারণে মাশরাফি বিমর্ষ, ‘এই ম্যাচে আমাদের জন্য ইতিবাচক কিছু ছিল না। দলগত পারফরম্যান্সের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। অন্তত ২৭০-২৮০ রান করা দরকার, অথচ আমরা করছি ২২০-২৩০ রান। ২৭০-২৮০ করতে পারলে অন্তত লড়াই করতে পারতাম।’

মাশরাফির দল এখন তাকিয়ে শেষ ওয়ানডের দিকে। আগামী বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় ডানেডিনে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে নামবে টাইগাররা।