মোস্তাফিজের দেনমোহর ৫ লাখ ১ টাকা

বিয়ে করতে যাওয়ার পথে মোস্তাফিজবিয়ে করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। মামাতো বোন সামিয়া পারভীনের সঙ্গে জীবনের ‘নতুন ইনিংস’ শুরু করলেন বাঁহাতি পেসার। মায়ের পছন্দেই শুক্রবার আকদ সম্পন্ন হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন মোস্তাফিজের বড় ভাই মাহফুজার রহমান মিঠু।

শুক্রবার দুপুর তিনটায় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার হাদিপুরে হয়েছে মোস্তাফিজের বিয়ে। দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে ৫ লাখ ১ টাকা দেনমোহরে সামিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বাংলাদেশ দলের এই পেসারের। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্টার আবুল বাশার।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কালিগঞ্জের তেতুলিয়া গ্রামের হাজী আবুল কাশেম ও মাহমুদা দম্পত্তির ছোট ছেলে মোস্তাফিজ আপন মামাতো বোন সামিয়া পারভীনকে বিয়ে করেছেন। দেবহাটার হাদিপুর গ্রামের রওনাকুল ইসলাম বাবুর এক ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে সামিয়া তৃতীয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

দুপুর পৌনে তিনটার দিকে বাবা, মা, ভাই ও বন্ধু মিলিয়ে ৩০-৩২ জন বরযাত্রী নিয়ে হাদিপুরে কনের বাড়িতে পৌঁছান মোস্তাফিজ। গায়ে শেরওয়ানি থাকলেও পাগড়ি পরেননি তিনি। কনে পক্ষের লোকজন এই পেসারকে কোলে করে বিয়ের আসরে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি উঠতে রাজি হননি। শেষমেষ হেঁটেই বিয়ের মঞ্চে বসেন তিনি।

জীবনের অন্যতম সুন্দর দিনে সংবাদমাধ্যম থেকে দূরে ছিলেন মোস্তাফিজ। কোনও কথা বলতে রাজি ছিলেন না তিনি। তবে তার বড় ভাই মিঠু সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে দোয়া চেয়েছেন নতুন জুটির জন্য। ছোট ভাইয়ের বিয়ে প্রসঙ্গে মিঠু বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের ওই ঘটনার পর বাড়িতে এসেও ওর (মোস্তাফিজ) মন অনেক খারাপ ছিল। সে কারণেই আমার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই।’

তিনি একই সঙ্গে নিশ্চিত করেছেন, ‘মায়ের পছন্দেই এই বিয়ে। আপাতত মোস্তাফিজের আকদ হচ্ছে। বিশ্বকাপের পর বড় আয়োজনের ইচ্ছা আছে। তখন সবাইকে বলে ঘটা করে অনুষ্ঠান করা হবে।’ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা এতটাই গোপনে সারতে চেয়েছেন যে, কনের ছবি তোলাটাও ছিল ‘নিষেধ’। মোস্তাফিজের ভাই আগেই থেকেই বলে রেখেছিলেন, ‘দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে আপাতত কনের ছবি আমার গণমাধ্যমে প্রকাশ করছি না।’