বু্ধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান মানিগ্রামের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সংবাদ মাধ্যমকে তামিম বলেছেন, “যে স্কোয়াডই দেওয়া হোক বা যে প্লেয়ারকেই নেওয়া হোক না কেন, সবারই কিছু না কিছু ‘যদি’ ‘কিন্তু’ থাকবে, কিছু পছন্দ অপছন্দ থাকবে। এটাই নিয়ম। বিশ্বকাপের দল তৈরি করা সহজ কাজ নয়। কয়েকজন খেলোয়াড় পারফর্ম করেও এই দলে সুযোগ পাননি। আবার এমন খেলোয়াড়ও আছেন যারা পারফর্ম করেই সুযোগ পেয়েছেন দলে।”
তিনি আরও বলেছেন, “যে ১৫ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে তাদের ওপর আস্থা রাখা উচিত। ‘অমুকের জায়গায় তমুক থাকলে ভালো হতো’ বললে যারা সুযোগ পেয়েছে তাদের মনখারাপ হয়ে যাবে।”
মোস্তাফিজ-মিরাজ-লিটন-মিঠুন-রাহী প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বকাপ দলে। এই তরুণদের কাছে তামিমের অনেক প্রত্যাশা, ‘বিশ্বকাপ এমন একটা মঞ্চ, এমন একটা টুর্নামেন্ট যেখানে তারকাদের জন্ম হয়। বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করা ক্রিকেটার রাতারাতি সুপার স্টার হয়ে যায়। আমাদের দলে বেশ কয়েকজন তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। আর প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো মঞ্চ কিছুই হতে পারে না।’
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলেছিল সেমিফাইনালে। এবার কি ফাইনালে দেখা যাবে টাইগারদের? প্রশ্নটা উঠতেই তামিমের কণ্ঠে সতর্কতা, ‘কতদূর যাওয়া সম্ভব এটা বলতে আমি পছন্দ করি না। সবাই জয়ের স্বপ্ন নিয়েই দেশ ছাড়বো। শুধু অংশগ্রহণ করার জন্য যাওয়ার কোনও মানেই হয় না। আমরা পারি বা না পারি, আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা জিততে পারি। এই বিশ্বাস নিয়েই আমাদের যেতে হবে।’
এই বাঁহাতি ওপেনারের চোখে দুটি দল ফেভারিট এবারের বিশ্বকাপে, ‘অবশ্যই ভারত ফেভারিট, ইংল্যান্ডও ফেভারিট। তবে ক্রিকেটে যে কোনও কিছু কিছুই হতে পারে। এটা অনিশ্চয়তার খেলা। ১৯৯৬ সালে কেউ ভাবতেই পারেনি শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন হবে। ক্রিকেট আপনার জন্য কী চমক রেখেছে, সেটা আপনি আগে থেকে বুঝতেই পারবেন না।’
বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় মানসিক প্রস্তুতি সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করেন তামিম, ‘বিশ্বকাপে মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ৫০ দিন অনুশীলন করলেও মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকলে সেটা ক্রিকেটারকে খুব বেশি সাহায্য করে না। আমরা ভাগ্যবান যে বেশ আগেই ইংল্যান্ডে যাচ্ছি।’
ছবি: নাসিরুল ইসলাম