শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করবেন মিরাজ

ইউনিসেফের সঙ্গে চুক্তি করেছেন মিরাজজাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত হলেন বাংলাদেশের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। সাকিব আল হাসানের পর এবার তিনিও সংস্থাটির সঙ্গে কাজ করবেন শিশু অধিকার নিয়ে। বুধবার দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে।

এই চুক্তি অনুযায়ী ইউনিসেফের হয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করবেন মিরাজ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে ইউনিসেফের শিশু অধিকার বিষয়ক অ্যাডভোকেট হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় তাকে।  

শিশু অধিকার প্রচারের দূত হিসেবে মিরাজ শিশু অধিকারসমূহ তুলে ধরতে এবং পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন ও শিশু সুরক্ষার ক্ষেত্রে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করবেন। এর আগে সাকিব ২০১২ সালে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত মনোনীত হয়েছিলেন।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার, বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী, বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম সহ ইউনিসেফ ও বিসিবির অন্য কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডুয়ার্ড বেগবেদার বলেছে, ‘আমরা অনেক আনন্দিত যে মেহেদী হাসান মিরাজ শিশুদের অধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য আমাদের শিশু অধিকার বিষয়ক দূত হতে সম্মতি জানিয়েছেন। এই দেশে ক্রিকেটের অসাধারণ জনপ্রিয়তার কারণে ক্রিকেটারদের জাতীয় আইডল হিসেবে দেখা হয়। তারা যখন কথা বলেন, দেশের মানুষ তা শোনে। তাই আমরা বিশ্বাস করি এই দেশের শিশুদের অধিকারসমূহ সুরক্ষিত করতে মিরাজের কণ্ঠ ব্যবহার করা যেতে পারে।’

শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন বাংলাদেশের তরুণ এই অলরাউন্ডার। বক্তব্য দিতে গিয়ে কিছুটা আবেগী হয়ে উঠলেন মিরাজ, ‘আমার জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আমি নিজে কখনও ভাবতে পারিনি আমাকে এমন একটি দায়িত্ব দেওয়া হবে। ছাত্র জীবনে ইউনিসেফ সম্পর্কে পড়েছি। আমি জানি তারা শিশুদের অধিকার নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে থাকে। এমন একটি কর্মসূচিতে তারা আমাকে সম্পৃক্ত করেছে বলে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। শিশুদের সঙ্গে কাজ করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনারা সবাই জানেন আমি অনেক বাধা ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। আমি যে পরিবার থেকে উঠে এসেছি, তাতে খুব ভালো করেই জানি যে একটা শিশুকে উপরে যেতে হলে কতটা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আসতে হয়। আমার  ভেবে খুব ভালো লাগছে যে, আমি শিশুদের নিয়ে কাজ করতে পারবো।’

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বিসিবির পক্ষ থেকে আমরা সবসময় সামাজিক কর্মকাণ্ডে ক্রিকেটারদের সম্পৃক্ততাকে উৎসাহিত করি। একজন উঠতি ক্রিকেট আইকন হিসেবে মিরাজ নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের শিশুদের উন্নতির জন্য অবদান রাখতে পারবেন।’