দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২৪১

রাসি ফন ডার ডাসেন পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরিভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শুরু হলো খেলা। কাটা পড়লো তাই ১ ওভার। ৪৯ ওভারের এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া নিউজিল্যান্ডের সামনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কিউই বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রোটিয়ারা ৬ উইকেটে স্কোরে জমা করতে পেরেছে ২৪১ রান।

বুধবার এজবাস্টনে হাশিম আমলার পর হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন রাসি ফন ডার ডাসেন। তার হার না মানা ৬৭ রানের ওপর ভর দিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার রান অতদূর গিয়েছে। কিউইদের সবচেয়ে সফল বোলার লকি ফার্গুসন। ১০ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে তার শিকার ৩ উইকেট।

মেঘলা আবহাওয়ার সুবিধা কাজে লাগতে টস জিতে ফিল্ডিং নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। সাফল্য পেতেও সময় লাগেনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের শিকার কুইন্টন ডি কক। ৫ রানে এই উইটেকরক্ষক বোল্ড হওয়ার পর সতর্ক ব্যাটিং করেছেন হামিশ আমলা ও ফাফ দু প্লেসি।

কিউইদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে উইকেট না হারিয়ে রান বাড়ানোর চেষ্টা করে গেছেন অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান। মন্থর ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫০ রান যোগও করেন তারা। কিন্তু ফার্গুসনের আঘাতে দু প্লেসির স্টাম্প ভাঙলে শেষ হয় তাদের প্রতিরোধ। ৩৫ বলে ২৩ রান করে যান প্রোটিয়া অধিনায়ক।

এরপর এইডেন মারক্রামকে নিয়ে আবারও এগিয়ে চলেন আমলা। ৫২ রানের জুটি গড়ার পথে এই ওপেনার পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। যদিও ফিফটি করার পর বেশিদূর যেতে পারেননি। ৮৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৫৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আমলা। ভালো শুরু করে মারক্রামও টিকতে পারেননি। ৫৫ বলে ৩৮ রান করে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের শিকার তিনি।

তবে নিউজিল্যান্ড বোলাররা আউট করতে পারেননি ডাসেনকে। ৬৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় কার্যকরী ৬৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার সঙ্গে ডেভিড মিলারের ৩৭ বলে খেলা ৩৬ রানের ইনিংসটাও প্রোটিয়াদের ২৪১ পর্যন্ত যাওয়ার পথে ছিল বড় সহায়ক।