ভারতকে ২২৪ রানে থামালো আফগানিস্তান

ইনিংস সেরা রান করে ফিরে গেলেন কোহলিম্যানচেস্টারে আগের ম্যাচে আফগানিস্তানকে রান পাহাড়ে পিষ্ট করেছিল ইংল্যান্ড। একই লক্ষ্যে সাউদাম্পটনে আফগানদের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। কিন্তু প্রতিপক্ষের স্পিন আক্রমণে সুবিধা করতে পারেনি দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তাদের ৮ উইকেটে ২২৪ রানে থামিয়েছে আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করতে নেমে ২০১০ সালের পর ওয়ানডেতে এটাই ভারতের সর্বনিম্ন ইনিংস।

এই বিশ্বকাপে সাউদাম্পটনে খুব বেশি রান হয়নি আগের তিন ম্যাচের দুটিতে। একটি ম্যাচ ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। এই রোজ বোল স্টেডিয়ামেই একটি ম্যাচ খেলেছিল ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার ২২৮ রানের টার্গেট ৪ উইকেট হারিয়ে জিতে যায় তারা। অন্য ম্যাচটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের। ক্যারিবিয়ানদের ২১২ রানে গুটিয়ে দিয়ে স্বাগতিকরা ৮ উইকেটে জিতেছিল।

লো স্কোরিং ম্যাচের ধারাই হয়তো ভাঙতে চেয়েছিল ভারত। তাই আফগানদের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি বিরাট কোহলি। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি তাদের। বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি হাঁকানো রোহিত শর্মা পঞ্চম ওভারে ফিরে যান মাত্র ১ রান করে। ১০ বল খেলে মুজিব উর রহমানের কাছে বোল্ড হন তিনি।

৭ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর লোকেশ রাহুলের সঙ্গে কোহলির ৫৭ রানের জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নবী। ৩০ রান করে হযরতউল্লাহ জাজাইকে ক্যাচ দেন রাহুল। এরপর ভারতের ইনিংস সেরা ৫৮ রানের জুটি গড়েন কোহলি ও বিজয় শঙ্কর। ২৯ রানে বিজয়কে এলবিডাব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন রহতম শাহ। মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে বড় জুটি গড়তে ব্যর্থ হন কোহলি। ৬৩ বলে ৫ চারে ৬৭ রানে ভারতীয় অধিনায়ককে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান নবী।

ধোনিও সুবিধা করতে পারেননি। তার ২৮ রানের ইনিংস শেষ হয় রশিদ খানের কাছে এলবিডাব্লিউ হয়ে। এর আগে কেদার যাদবের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। শেষ দুই ওভারে তিন উইকেট হারায় ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় সেরা ৫২ রানে কেদার আউট হন এক বল বাকি থাকতে। শেষ দুই ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া (৭) ও মোহাম্মদ সামিও (১) বিদায় নেন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়া রশিদ এদিন ছিলেন উজ্জ্বল। ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। নবীও স্পিনে ছিলেন দারুণ। ৯ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তিনি। আরেক স্পিনার মুজিব ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। আফতাব উদ্দিন ও রহমত নেন একটি করে উইকেট। শেষ ওভারে দুটি উইকেট নেন গুলবাদিন নাইব।