অবসর নিলেন অজন্তা মেন্ডিস

অজন্তা মেন্ডিসআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন অজন্তা মেন্ডিস। এক ওভারে ছয় রকমের বল করে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপন ধরান শ্রীলঙ্কার এই স্পিনার। কিন্তু সময় যত গেছে, হারাতে থাকেন ক্ষিপ্রতা। জাতীয় দলে চার বছর উপেক্ষিত থাকার হতাশা থেকে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন এই রহস্যময় স্পিনার।

বুধবার বিবিসি সিনহালা রিপোর্ট করেছে, সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুইবার ৬ উইকেট নেওয়া একমাত্র বোলার। ‘ক্যারম বল’কে বিশ্বে পরিচিত করে দেওয়া মেন্ডিস সবশেষ জাতীয় দলের জার্সি পরেন ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে, ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে। ১৪৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২৮৮ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করলেন মেন্ডিস।

২০০৮ সালে অভিষেক টেস্ট সিরিজে সাফল্যের দেখা পান মেন্ডিস। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে নেন ২৬ উইকেট। বৈচিত্র্যময় বোলিং দিয়ে রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলীকে ধাঁধায় ফেলে দেন তিনি। পরের ৬ বছরে ১৯ টেস্ট খেলে নেন ৭০ উইকেট, চারবার এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান এবং সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৯৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট।

২০০৯ ও ২০১২ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ স্পিনার ছিলেন মেন্ডিস। ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কাকে ৮ রানে জেতাতে ১৬ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন তিনি। পরের বছর টি-টোয়েন্টির বিশ্বমঞ্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছিলেন আরও দুর্দান্ত। ৮ রানে ৬ উইকেট শিকার করে দলকে এনে দেন ৮২ রানের জয়।

শুধু টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে নয়, ওয়ানডেতেও ঝলমলে ছিলেন তিনি। দ্রুততম ৫০ উইকেটের মালিক হন মাত্র ১৯ ম্যাচ খেলে। ২০০৮ সালের এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১০০ রানের দুর্দান্ত জয়ে ১৩ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার এই চমৎকার শুরুটা ম্লান হতে থাকে কয়েকটি ইনজুরিতে। মেন্ডিসের অনুপস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার স্পিন আক্রমণে শক্ত জায়গা করে নেন আকিলা ধনঞ্জয়া, লাসিথ এম্বুলদেনিয়া ও দিলরুয়ান পেরেরার মতো বোলাররা। তার সবশেষ প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট ছিল প্রিমিয়ার লিগ টায়ার ‘বি’তে, যেখানে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্লাব পুলিশ এসসির হয়ে অধিনায়কত্ব করেন তিনি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ক্রিকট্র্যাকার