চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ‘আপনারা কি ম্যাচটা বাঁচাতে পারবেন?’ প্রশ্নে সাকিবের মন্তব্য, ‘দুনিয়াতে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। দেখা যাক কী হয়! আমাদের সামনে কয়েকটা পথ খোলা আছে। একটা হলো আমাকে আর সৌম্যকে সেঞ্চুরি করতে হবে। মানে রান করতে হবে আমাদের। আরেকটা হলো বৃষ্টি। সেটাও আমাদের বাঁচাতে পারে।’
বছর দুয়েক আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিব আর মাহমুদউল্লাহর দুটো দুর্দান্ত সেঞ্চুরি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় এনে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। ‘চট্টগ্রামে কি কার্ডিফ ফিরতে পারে?’ সাকিব তেমন আশাবাদী হতে পারছেন না, ‘কার্ডিফের মতো সাফল্যের জন্য অন্য পাশে একজনকে থাকতে হবে। জিততে হলে আমাদের দুজনকেই রান করতে হবে। আমি ১৫০ আর সৌম্য ১২০ রান করলে জয় হয়তো অসম্ভব নয়। কিন্তু কাজটা অনেক কঠিন।’
পঞ্চম দিনে ২৬২ রান করা সত্যিই কঠিন। বাস্তবতা মেনে নিয়ে সাকিবের উপলব্ধি, ‘আসলে এই ম্যাচে আমরা হারের খুব কাছাকাছি বলা যায়। শুধু বৃষ্টি আর আল্লাহ রহমত আমাদের বাঁচাতে পারে। হারলেও যেন লড়াই করতে পারি সেই চেষ্টা করতে হবে আমাদের।’
৩৯৮ রানের কঠিন লক্ষ্য পেলেও বাংলাদেশ নাকি জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু চা-বিরতির পর ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্বপ্নটা প্রায় শেষ। সাকিব জানালেন, ‘যখন স্কোর বিনা উইকেটে ৩০ রান ছিল, তখনও মনে হচ্ছিল জেতা সম্ভব। কারণ উইকেট তেমন খারাপ হয়নি, যথেষ্ট ভালো আছে। রিস্ট স্পিনাররা অবশ্য সুবিধা পাচ্ছে। তবে সেটা তো ফ্ল্যাট উইকেটেও পেতে পারে। কিন্তু চা-বিরতির পর চার উইকেট পতন আমাদের বিপদে ফেলে দিয়েছে। আসলে ভুল ব্যাটিং অ্যাপ্লিকেশনই আমাদের সমস্যার কারণ।’