মাহমুদউল্লাহর পর সাব্বিরের বিদায়

সাব্বির রহমানত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ১৭ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৪ রান করেছে স্বাগতিকরা। ১৮ বলে ৫১ রান দরকার তাদের।

৩২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর সাব্বির হোসেনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মাহমুদউল্লাহ। এই জুটি ফিফটি করলেও তিনি হাফসেঞ্চুরি করতে ব্যর্থ হন। গুলবাদিন নাইবের দ্বিতীয় ওভারে নাজীব তারাকাইকে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ, ৩৯ বলে ৫ চারে ৪৪ রান করেন তিনি।

৫৮ রানের এই জুটি ভাঙার পর ক্রিজে থাকতে পারেননি সাব্বিরও। পরের ওভারে ২৪ রানে মুজিব উর রহমানের চতুর্থ শিকার হন তিনি। গুলবাদিন তার ক্যাচ নেন।

মাহমুদউল্লাহ-সাব্বিরের ব্যাটে বাংলাদেশের প্রতিরোধ

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৮ রান করা বাংলাদেশ লড়াই করছে সাব্বির রহমান ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। রশিদ খানের প্রথম ওভারে সাব্বির জীবন পান। দশম ওভারে আফগান অধিনায়কের এলবিডাব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার আউট দেন। সাব্বির রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ৮ রানে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়েন তিনি।

মুজিবের জোড়া আঘাতে আরও চাপে বাংলাদেশ

মাত্র ১১ রানে ২ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ। মুজিব উর রহমান তার তৃতীয় ওভারে শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকারকে। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিড অনে রশিদ খানের সহজ ক্যাচ হোন সাকিব। ১৩ বলে ২ চারে মাত্র ১৫ রান করে অধিনায়ক। শেষ বলে সৌম্য এলবিডাব্লিউ হন একমাত্র বল খেলে।

ওপেনার লিটন-মুশফিককে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গে মুশফিকুর রহিম নেমে বিস্ময় জাগান। কিন্তু তাদের কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারলেন না। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মুজিব উর রহমানের শিকার হন লিটন। ২ বল খেলে রানের খাতা না খুলে ভুল শটে নাজীব তারাকাইকে ক্যাচ দেন বাংলাদেশি ওপেনার।

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ১১ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান মুশফিক। দ্বিতীয় ওভারে ফরিদ আহমেদের পঞ্চম বলে স্কুপ করতে গিয়ে বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি। ৩ বলে মাত্র ৫ রানে বোল্ড হন তিনি।

নবী ঝড়ে বাংলাদেশকে ১৬৫ রানের লক্ষ্য দিলো আফগানরা

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও সাকিব আল হাসানের বোলিংয়ে চমৎকার শুরু হয় বাংলাদেশের। কিন্তু মোহাম্মদ নবীর ব্যাটিং ঝড়ে তাদের সামনে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান করেছে তারা।

৪০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আসগর আফগানের সঙ্গে ৭৯ রানের শক্ত জুটি গড়েন নবী। ৫৪ বলে ৩ চার ও ৭ ছয়ে ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৪১ বলে ১ চার ও ৪ ছয়ে হাফসেঞ্চুরি করেন নবী। এছাড়া আসগর করেন ৪০ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে সাইফ নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। দুটি পান সাকিব আল হাসান।