টস হেরে ফিল্ডিং নিয়ে শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। প্রথম ওভারে আল আমিন হোসেন দেন মাত্র ৩টি রান। পরের ওভারের তৃতীয় বলে শফিউল ইসলাম ভাঙেন রোহিত শর্মার লেগ স্টাম্প। ৬ বলে ২ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক। দিল্লিতে প্রথম ম্যাচেও প্রথম ওভারেই তিনি এলবিডাব্লিউ হন শফিউলের বলে।
শফিউল তার তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ানকেও ফেরান। ষষ্ঠ ওভারে তার দ্বিতীয় বলে অনেক উঁচুতে শট খেলেন ধাওয়ান। ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ ধরেন মাহমুদউল্লাহ। ১৬ বলে চারটি চারে ১৯ রান করেন ধাওয়ান। লোকেশের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৩ বলে ৩২ রানের।
ওই ওভারের পঞ্চম বলেই আইয়ারকে জীবন দেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় বলে জীবন পেয়ে রানের খাতা খোলেন আইয়ার। তার সঙ্গে লোকেশের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি অস্বস্তিতে রেখেছিল বাংলাদেশকে।
ফিফটিও করেন লোকেশ, ৩৩ বলে। এর ২ বল পর আল আমিনের শিকার হন তিনি। ৩৫ বলে ৭ চারে ৫২ রান করে লিটন দাসের ক্যাচ হন এই ব্যাটসম্যান। আল আমিন দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়েই ভাঙেন ৪১ বলে ৫৯ রানের জুটি।
ঋষভ পান্তের সঙ্গে আইয়ারের ঝড় থামান সৌম্য সরকার। ভাঙেন ২৪ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো জুটি। নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলে পান্তকে ৬ রানে বোল্ড করেন তিনি। এরপর পঞ্চম বলে আইয়ারকে থামান সৌম্য। ৩৩ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে ৬২ রান করে লিটনকে ক্যাচ দেন আইয়ার।
১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে আরও একবার ক্যাচ মিস করেন বিপ্লব। ডিপ মিডউইকেটে শিবম দুবের ক্যাচ ছেড়ে দেন তিনি। ৩ রানে জীবন পান তিনি। দুবে ৯ রানে, আর মনিশ ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন শফিউল ও সৌম্য। আফিফ ও মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন খরুচে। একমাত্র ওভারে ২০ রান দেন আফিফ, মোস্তাফিজের ৪ ওভারে ভারত পায় ৪২ রান।