বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ ১৫০ রানে

চা বিরতির পর আর দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশইন্দোরে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। পুরো একদিন পার করতে ব্যর্থ হলেন ব্যাটসম্যানরা। চা বিরতির কিছুক্ষণ পর তারা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ১৫০ রানে। শেষ ৫ ব্যাটসম্যান ফিরে গেছে ১০ রানের ব্যবধানে।

প্রথম সেশনে ১২ রানে দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস (৬) ও সাদমান ইসলাম (৬) বিদায় নেওয়ার পর তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়েছিল বাংলাদেশ। মুমিনুল হকের সঙ্গে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে স্বস্তি ফিরেছিল। ১১ ওভার ক্রিজ আঁকড়ে ছিলেন দুজনে, যদিও রান হয়েছিল মাত্র ১৯টি।

মিঠুনকে ১৩ রানে এলবিডাব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ স্যামি। ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। ৩ রানে জীবন পাওয়া মুশফিকুর রহিম প্রথম সেশন শেষ করেন মুমিনুলের সঙ্গে। স্লিপে বিরাট কোহলি ছেড়ে দেন ক্যাচ। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে আরও একবার জীবন পান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এবার ১৪ রানে আজিঙ্কা রাহানের হাত ফসকে বেঁচে যান মুশফিক।

অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে মুমিনুল হাফসেঞ্চুরি করতে ব্যর্থ হন। ৩৭ রানে তিনি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অফস্পিন বুঝতে না পেরে বোল্ড হন। মুশফিকের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৬৮ রানের। ৭ রানে রাহানের হাতে জীবন পাওয়া মাহমুদউল্লাহ ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। অশ্বিনের কাছে বোল্ড হন তিনি ১০ রানে।

দুইবার জীবন পাওয়া মুশফিকের ব্যাটে আশা খুঁজে পাচ্ছিল বাংলাদেশ। হাফসেঞ্চুরির পথে ছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার আগে স্যামির এক ছোট্ট ঝড়ে সফরকারীরা ভেঙে পড়ে। ভারতীয় ডানহাতি পেসারের কাছে টানা দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুশফিক ৪৩ রানে বোল্ড হন, পরের বলে মেহেদী হাসান মিরাজ এলবিডাব্লিউ হন শূন্য রানে।

৭ উইকেটে ১৪০ রানে চা বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিজে ফিরে প্রথম বলে লিটন দাসকে হারায়। ২১ রানে তিনি কোহলির ক্যাচ হন ইশান্ত শর্মার বলে। টানা ৩ বলে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তোলার দায়িত্ব নিতে পারেননি লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা।

রবীন্দ্র জাদেজার থ্রো থেকে ঋদ্ধিমান সাহার কাছে তাইজুল ইসলাম মাত্র ১ রানে রান আউট হন। ২ রানে উমেশ যাদবের বলে এবাদত হোসেন বোল্ড হলে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

স্যামি সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ভারতের পক্ষে। দুটি করে পান অশ্বিন, উমেশ ও ইশান্ত।