তাই বলে এমন ‘নো বল’

ক্রিশমার সান্তোকির সেই অবিশ্বাস্য ‘নো বল’২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে ইচ্ছা করে ‘নো বল’ করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির। ওভারস্টেপিং এত বেশি ছিল যে, বুঝতে অসুবিধা হয়নি স্পট ফিক্সিং করেছেন তরুণ এই পেসার। আজ (বুধবার) বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে আমিরের সেই ‘নো বল’ই যেন সামনে এলো ক্রিশমার সান্তোকির ডেলিভারিতে!

বোলিংয়ের সময় পা নির্দিষ্ট সীমার বাইরে গেলে আম্পায়ার ডাকেন ‘নো’। তবে সান্তোকির পা যতটা বাইরে পড়েছে, কোনোভাবেই এতটা যাওয়ার কারণ নেই। লাইনের কয়েক ইঞ্চি বাইরে পড়লে সেই ডেলিভারি ‘অস্বাভাবিক’ মনে করাটাও স্বাভাবিক। শুধু তা-ই নয়, সিলেট থান্ডারের এই পেসার হাস্যকর ওয়াইডও করেছিলেন একই ওভারে।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংসে তখন দ্বিতীয় ওভার। বাঁহাতি সান্তোকির বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ছিলেন ডানহাতি অভিষ্কা ফার্নান্ডো। ক্যারিবীয় এই পেসার তৃতীয় ডেলিভারিতে লেগ সাইডে দিয়েছিলেন অবিশ্বাস্য ওয়াইড। তার বল পিচ করে লেগ স্টাম্পের প্রায় দুই হাত বাইরে! নিশ্চিত বাই চার ঠেকিয়ে দেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিঠুন। নিজের বিপরীত পাশে ঝাঁপিয়ে বল গ্লাভসবন্দি করেন তিনি। ওই ওয়াইড মাঠে উপস্থিত সবার কাছেই লেগেছিল হাস্যকর। এরপর পঞ্চম ডেলিভারিতে যে ‘নো বল’টি করলেন, সেটি এককথায় অবিশ্বাস্য। আম্পায়ার ‘নো’ ডাকার পর জায়ান্ট স্ক্রিনে সান্তোকির পা দেখে দর্শকদের চোখ কপালে!

অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়— এমন ‘নো’ সাধারণত হয় না। তবে কি...? অন্য কিছুর সন্দেহ মনে আসাটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। কেননা পপিং ক্রিজ পেরিয়ে ডেলিভারির সময় সান্তোকির পা পড়ে প্রায় এক হাত দূরে! পাকিস্তানের আমির লর্ডস টেস্টে প্রায় এমন ‘নো’ বলই করেছিলেন। পরে জানা গিয়েছিল স্পট ফিক্সিং করেছিলেন এই পেসার।

ম্যাচ শেষে ওই ‘নো বল’ নিয়ে সিলেট থান্ডার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন কিছু বলতে চাননি। তার দাবি ‘নো বল’ তিনি দেখেনইনি, ‘আমি ওটা খেয়ালই করিনি। আমার মনে হয় এটা (নো বল) নিয়ে আমার না বলাই ভালো। কারণ, আমি দেখিনি।’