‘সাকিবের সঙ্গে নিজের তুলনা করতে চাই না’

এবারের বিপিএলে সাকিবকে পাশে পাচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন করায় ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ক্রিকেটে নিষিদ্ধ সাকিব আল হাসান। অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাই তার খেলার সম্ভাবনা নেই-ই বলা যায়। সাকিবের অনুপস্থিতিতে মাহমুদউল্লাহকে ঘিরে বিশেষ পরিকল্পনা থাকতে পারে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের। যদিও টিম ম্যানেজমেন্ট এ বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানায়নি এখনও।

কলকাতা টেস্টে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ায় বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুরু থেকে মাহমুদউল্লাহ খেলতে পারেননি। শনিবার প্রথম মাঠে নেমে বল হাতে তার দারুণ পারফরম্যান্স, ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে শিকার এক উইকেট। রংপুর রেঞ্জার্স-চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এলে সাকিবের সঙ্গে তুলনা উঠতেই আপত্তি জানালেন মাহমুদউল্লাহ, ‘সাকিবের সঙ্গে নিজের তুলনা করতে চাই না, আর সেটা ঠিকও হবে না। এক জেনারেশনে সাকিবের মতো ক্রিকেটার পাওয়া খুব কঠিন। সাকিব শুধু একজনই। আমরা সবাই ওর অ্যাবিলিটি আর ক্রিকেটিং ব্রেইন সম্পর্কে জানি। আমি শুধু নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করবো। বোলিংয়ে সাকিবের মতো অবদান রাখতে পারলে অবশ্যই খুশি হবো।’

জাতীয় দলে নিয়মিত বল না করার কারণ হিসেবে তিনি বললেন, ‘আমি সব সময় নিজেকে ব্যাটিং অলরাউন্ডার ভাবি, ব্যাটিংকে অগ্রাধিকার দিই। বোলিংটা আমার অ্যাডভান্টেজ। জাতীয় দলে স্পিন বোলিংয়ে অনেক অপশনও আছে অবশ্য। আফিফ আছে, মোসাদ্দেক আছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তারা খুব ভালো বোলার।’

ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছিল তার কাঁধে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও কি থাকবে? মাহমুদউল্লাহর জবাব, ‘অধিনায়কত্ব নিয়ে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই। দায়িত্ব পেলে হান্ড্রেড পার্সেন্ট দিয়ে চেষ্টা করবো। সর্বশেষ সিরিজে অধিনায়ক ছিলাম। পরের সিরিজে দায়িত্ব পেলে ভালো করার এবং যে সব জায়গায় আমাদের ঘাটতি আছে সেগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এবারের বিপিএলকে ভীষণ গুরুত্ব দিচ্ছেন নির্বাচকরা। এ বিষয়ে মাহমুদউল্লাহর মন্তব্য, ‘ক্রিকেটারদের দায়িত্ব খেলা, আর নির্বাচকদের দায়িত্ব আমরা কেমন খেলি সেটা পর্যবেক্ষণ আর পর্যালোচনা করা। আমরা নিজেদের কাজটা মনোযোগ দিয়ে করতে চাই।’