বৈরিতায় বেরিয়ে আসে স্মিথের সেরা ক্রিকেট

স্টিভ স্মিথ২২ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো বড় কোনও টুর্নামেন্ট জেতেনি। কিন্তু বেশ কিছু রোমাঞ্চকর ম্যাচের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রোটিয়াদের লড়াই অন্যরকম উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয় ক্রিকেটে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল অথবা ৪৩৪ তাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকার অবিস্মরণীয় জয় কখনও ভোলা যাবে?

অস্ট্রেলিয়ার এবারের সফরে অবশ্য ব্যাট-বলের লড়াইয়ের আগেই শুরু হয়েছে অন্য লড়াই। যেখানে মুখ্য চরিত্রে স্টিভ স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নার। দু’বছর আগে বল টেম্পারিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার পর এটাই তাদের প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। ‘স্যান্ডপেপারগেট’ কেলেঙ্কারিতে বিদ্রূপের শিকার হওয়ার আশঙ্কা দুই তারকার সামনে।

স্মিথ অবশ্য এমন আশঙ্কাকে পাত্তা দিচ্ছেন না। বরং প্রোটিয়াদের মাটিতে ফিরে ভীষণ খুশি অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার জন্য ফিরতে পেরে খুব ভালো লাগছে। গতবার এখানে সময়টা একদমই ভালো কাটেনি। তবে এখানে অনেক সুন্দর স্মৃতিও আছে।’

দর্শকের বিরূপ ‘অভ্যর্থনা’ নাকি উল্টো উজ্জীবিত করে তোলে স্মিথকে, ‘তাদের বৈরী আচরণ আমার ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনে। আসলে ব্যাট করার সময় অন্যদিকে খেয়াল থাকে না। হয়তো ফিল্ডিংয়ের সময় কিছুটা করি। তবে সে সব তো শুধুই কথা। আমার ওপরে এর কোনও প্রভাব পড়ে না।’ 

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক বছরের নিষেধাজ্ঞা যে তাকে অনেক বদলে দিয়েছে, সেটাও জানিয়েছেন, ‘ওই ঘটনা থেকে অনেক কিছু শিখেছি। প্রায় এক বছর ধরে খেলছি আর উপভোগও করছি। মনে তো হয় ভালোই খেলছি।’

শুধু ভালো নয়, গত ১২ মাসে ক্রিকেট স্মিথের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখেছে। ৯ টেস্টে ৭৩.৪২ গড়ে ১,০২৮ আর ১৩ ওয়ানডেতে ৫০.৬৬ গড়ে ৬০৮ রান করেছেন। এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় রানের ফুল ফোটানোর পালা।