রাজ্জাকের ৭ উইকেটের পর চাপে দক্ষিণাঞ্চল

আব্দুর রাজ্জাকের শিকার ৭ উইকেটগত বছরের নভেম্বরে ইনিংসে ৭ উইকেট পেয়েছিলেন জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল)। খুলনা বিভাগের হয়ে খেলা আব্দুর রাজ্জাক তিন মাসের ব্যবধানে আবারও পেলেন ৭ উইকেট। এবারের মঞ্চ বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনাল। তার স্পিন ভেলকিতে ভালো শুরুর পরও বেশিদূর যেতে পারেনি পূর্বাঞ্চল। অবশ্য তাদের অলআউট করে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণাঞ্চলও ভালো অবস্থানে নেই।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রাজ্জাকের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ২৭৩ রানে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা দক্ষিণাঞ্চল ‍তৃতীয় দিন শেষ করেছে ৮ উইকেটে ১২৫ রানে। প্রথম ইনিংসে ৪৮৬ রান ‍করায় রাজ্জাকরা লিড নিয়েছে ৩৩৮ রানের।

আগের দিন ২ উইকেট পাওয়া রাজ্জাক আজ (সোমবার) নিয়েছেন আরও ৫ উইকেট। সব মিলিয়ে ৭ উইকেট শিকারের পথে ৩২.৩ ওভারে বাঁহাতি স্পিনারখরচ করেছেন ১০২ রান।

৩ উইকেটে ১১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে পূর্বাঞ্চল। মাহমুদুল হাসান ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে ভালো শুরু পায় তারা। বড় ইনিংসের সম্ভাবনা জাগিয়েও রাজ্জাকের বলে ফিরে যান মাহমুদুল (৩৩)। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী তানজিদ হাসানকে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান আফিফ। চমৎকার ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরির কাছে গিয়েও পাননি, ৪৭ রানে তাকে থামান রাজ্জাক।

যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে নিজের সঙ্গে দলের রান বাড়িয়ে গেছেন তানজিদ। ছোটদের বিশ্বকাপ জেতার আত্মবিশ্বাস ক্রিকেটের লম্বা সংস্করণেও মেলে ধরলেন তিনি। রাজ্জাকের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৮৭ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস। পরে রাজ্জাক লেজ ছেঁটে দিলে ২৭৩ রানে শেষ হয় পূর্বাঞ্চলের প্রথম ইনিংস।

২১৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা দক্ষিণাঞ্চল শুরুতেই পড়ে বিপদে। ২৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার এনামুল হক (১০) ও ফজলে মাহমুদকে (১) হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। জিম্বাবুয়ে টেস্ট থেকে বাদ পড়া মাহমুদউল্লাহ আরেকবার ব্যর্থ। দলের প্রয়োজনের সময় ব্যাটিং অর্ডারে ‘প্রোমোশন’ পেয়ে ‍ওয়ান ডাউনে নেমেও ভাগ্য বদল করতে পারেননি। উল্টো দলকে আরও চাপের মধ্যে ফেলে ১১ বলে ১৭ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।

দক্ষিণাঞ্চলে ধাক্কাটা আরও বেশি লাগে পরের ওভারেই শামসুর রহমান (১৬) আউট হয়ে গেলে। এরপর শুধু আসা-পাওয়ার পালা; নুরুল হাসান (৮), আল-আমিন (৮) ও প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ফরহাদ রেজা (৩)— কেউই কিছু করতে পারেননি। মেহেদী হাসান অপরাজিত ৪১ রান না করলে আরও বিপদে পড়তে হতো দক্ষিণাঞ্চলকে। তার সঙ্গে চতুর্থ দিন শুরু করবেন অধিনায়ক রাজ্জাক (১*)।

দক্ষিণাঞ্চলকে চেপে ধরার পথে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবু হায়দার। বাঁহাতি পেসার ৫১ ‍রান দিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। আর ২টি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও রুয়েল মিয়া।