ডাইনোসর ভক্ত ছেলের জন্য মুশফিকের এমন উদযাপন

দুই বছরের ছেলে মায়ানের উদ্দেশে মুশফিকের ডায়নোসরের মতো মুখভঙ্গিএনডিলোভুর অফস্টাম্পের বাইরের বল পয়েন্টের ওপর দিয়ে চার মেরে, ব্যাটকে তলোয়ারের মতো ঘুরিয়ে, দুই হাত তুলে মেতে উঠলেন উল্লাসে। শূন্যে লাফিয়ে ব্যাট ছোড়ার পর বাঁ হাতে ঘুষি ছুড়লেন। এরপর হেলমেট খুলে দুই হাত ওপরে তুলে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন। তখনও উদযাপন থামেনি। ডানহাতে আবার ঘুষি ছোড়া, গ্লাভস খুলে বাঘের গর্জন, সবশেষে সিজদা। আজ মিরপুরে মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরির উদযাপন ছিল দেখার মতো।

পরিবারের আপত্তির কারণে পাকিস্তানে যাননি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট সাড়ে তিন দিনেই হেরে যাওয়ার পর মুশফিকের সমালোচনা করেছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে তাকে না রাখার ইঙ্গিত পর্যন্ত দিয়েছিলেন। তবে মুশফিককে বাদ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি খেললেন এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়ে নিজেকে পৌঁছে দিলেন অন্য উচ্চতায়।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এলেন মুশফিক। প্রায় ২২ মিনিট হাসিমুখেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিলেন। জানালেন, কাউকে জবাব দেওয়ার জন্য এমন উদযাপন নয়, ‘না, স্বাভাবিকভাবেই উদযাপন করেছি, অত কিছু ভেবে করিনি। আসলে এমন উদযাপন আমার ছেলের জন্য। আমার ছেলে মায়ান ডাইনোসরের খুব ভক্ত। ও ডাইনোসর দেখলে যেমন করে, আমিও সেভাবে উদযাপন করতে চেয়েছি।’

সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন, কাউকে উদ্দেশ্য করে কি এমন উদযাপন? হাসি মুখে মুশফিকের প্রায় একই উত্তর, ‘না, কারও উদ্দেশে কিছু করিনি। যদি আপনারা বানিয়ে নেন, তাহলে তো কিছু করার নেই। আসলে ক্যারিয়ারে প্রতিশোধ বা প্রতিবাদের জন্য কখনোই উদযাপন করিনি। যতদিন পারি নিজের খেলাটা খেলে যাবো। আগেই বলেছি, কিছুই পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না। তবে ভেবে রেখেছিলাম ডাবল সেঞ্চুরি করলে ছেলের জন্য উদযাপন করবো। সেটাই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে।’