ক্যান্সার আক্রান্ত হ্যাডলি পাঁচ বছরের অপেক্ষায়

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন রিচার্ড হ্যাডলিমার্টিন ক্রো’র শেষ আশা ছিল নিউজিল্যান্ডকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেখে যাবেন। ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও ব্রেন্ডন ম্যাককালামরা তার আশা পূরণ করতে পারেননি। মেলবোর্নের ফাইনালের কিছুদিন পরই ব্লাড ক্যান্সারের কাছে হার মেনে পৃথিবী ছেড়ে গেছেন নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটে আবারও ক্যান্সারের থাবা! এবার দেশটির আরেক কিংবদন্তি রিচার্ড হ্যাডলির শরীরে ধরা পড়েছে ক্যান্সারের বীজ।

নিউজিল্যান্ডের তো বটেই, সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার হিসেবেও বিবেচনা করা হয় তাকে। ৭০-৮০’র দশকে ব্যাটসম্যানদের মনে কাঁপন তোলা সাবেক ফাস্ট বোলারকে লড়াই করতে হচ্ছে অন্ত্রের ক্যান্সারের সঙ্গে। শরীর থেকে টিউমার অপসারণের জন্য ছুরি-কাচির নিচে যাওয়ার মাসখানেক পর ২০১৮ সালের জুনে ধরা পড়ে ক্যান্সার। এতদিন সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে চলা হ্যাডলি আজ (শুক্রবার) তার শারীরিক অবস্থার বিশদ জানিয়েছেন। এখনও পুরোপুরি সুস্থতা ফিরে না পেলেও এই লড়াই জিততে আত্মবিশ্বাসী কিংবদন্তি পেসার। আর এজন্য তার দরকার পাঁচ বছর।

ক্যান্সার শনাক্ত হলো কিভাবে, সবার আগে ৬৮ বছর বয়সী হ্যাডলি জানিয়েছেন সেটি, ‘জীবনের দৃষ্টিভঙ্গিই পাল্টে দিয়েছে, কারণ আমার কোনও লক্ষণই ছিল না। হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম, কেননা নিয়মমাফিক কলোনস্কোপি করাতে গিয়ে ধরা পড়ে। সবকিছু আমার প্রতিকূলে থাকায় জীবনের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলাম।’

ক্যান্সার ধরা পড়ার পর দুই বছর পার হয়ে গেছে। তার মনে হ্যাডলি একেবারে ঠিক হয়ে গেছেন, বিষয়টি তা নয়। ক্যান্সারের বীজ শরীর থেকে পুরোপুরি যেতে পাঁচ বছর দরকার তার, ‘দুই বছর গেছে, সামনে আরও তিন বছর দরকার। কে জানে, আগামীকালই দেখা গেল কোনও লক্ষণ নিয়ে ঘুম থেকে উঠেছি।’

চিকিৎসা নেওয়ার প্রথম ছয় মাস ভীষণ খারাপ সময় পার করতে হয় হ্যাডলিকে। এখন অবশ্য ভালো বোধ করেন, ‘এই মুহূর্তে সব ঠিক আছে, আমার ১০ কেজি ওজন কমেছে। স্বাভাবিক সবকিছুই করতে পারি, তবে ডায়েট মেনে। তিন মাস অন্তর চেক-আপ করাতে হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল আমার পক্ষেই, তবে এখনও বিপদমুক্ত নই।’

অবস্থায় যা-ই হোক, শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বিশ্বাস আছে তার মনে, ‘নতুন করে সংক্রমণ যাতে না হয় সামনের ১২ থেকে ২৪ মাস সেটি নিশ্চিত করতে হবে। যদি ফিরে আসে, আমি লড়াই করব, কিন্তু সেটি ভালো ব্যাপার হবে না। যদিও এই মুহূর্তে সবকিছু ঠিকঠাক।’