করোনাভাইরাসে ক্রিকেটারদের ভালোও দেখছেন জহির আব্বাস!

পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জহির আব্বাসকরোনাভাইরাসে ক্রীড়াঙ্গনের সব সূচি ওলটপালট। বিশ্বজুড়ে মহামারি রূপ নেওয়া এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাঠের বদলে ঘরবন্দি জীবন কাটাতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। স্থগিত হয়ে গেছে ক্রিকেটের দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো। এতে ফিটনেস ও পারফরম্যান্সে মারাত্মক প্রভাব পড়ার শঙ্কা। খেলোয়াড়দের জন্য বিষয়টি দুশ্চিন্তার হলেও করোনায় ক্রিকেটারদের জন্য ভালো দিকও দেখছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জহির আব্বাস।

ক্রিকেটে এখন খুব ব্যস্ত সূচি। খেলোয়াড়দের বছরের বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয় হোটেলে। মাঠের ব্যস্ত সূচিতে পরিবারকে সময় দেওয়াই হয় না একরকম। তবে করোনার কারণে সব খেলা বন্ধ থাকায় ঘরবন্দি থেকে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। সেদিক থেকে চিন্তা করে আব্বাস বলছেন, ক্রিকেটারদের এই বিশ্রামটা দরকার ছিল।

আন্তর্জাতিক সূচিতে দেশ ও বিদেশে সব দলগুলোর প্রচুর খেলা থাকে। ক্রিকেটারদের খেলার এই চাপ বহন করাটা কখনও কখনও ক্লান্তিতে রূপ নেয়। প্রায় সময়ই তাই বিভিন্ন খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রাখা হয়। করোনাভাইরাসের প্রভাবে এখন এমনিতেই সেই সুযোগটা পেয়ে গেছেন ক্রিকেটাররা।

সেটা মনে করিয়ে দিয়ে আব্বাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে বলেছেন, ‘আমার মতে এটা তাদের (ক্রিকেটারদের) জন্য ভালো বিরতি। তাদের জীবনটা হলো এমন- সবসময় সুটকেস সঙ্গী, প্রচুর ক্রিকেট ম্যাচ এবং খুবই অল্প সময় পরিবারকে কাছে পাওয়া। এখন তারা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছে।’

পাকিস্তানের হয়ে ৭৮ টেস্টে ৪৪.৭৯ গড়ে ৫ হাজার ৬২ রান ও ৬২ ওয়ানডেতে ৪৭.৬২ গড়ে ২ হাজার ৫৭২ রান করেছেন ৭২ বছর বয়সী আব্বাস। ক্রিকেটাদের উদ্দেশ্যে সাবেক এই অধিনায়কের পরামর্শ, ‘আমার পরামর্শ থাকবে, এই সময়ে তারা যেন নিজেদের ভেতরটা আরও ভালোভাবে দেখে, ফিটনেসের কাজ চালিয়ে যায় এবং ব্যস্ত সূচির কারণে যেটা তাদের করা হয় না, সেটা এখন করা। এতে তারা ভবিষ্যতে সতেজ হয়ে মাঠে ফিরতে পারবে।’