দর্শকদের কারণে বাংলাদেশে খেলা কঠিন: ডু প্লেসি

দলকে সমর্থন দিতে বাংলাদেশের সমর্থকদের এমন ভিড় চোখে পড়ে সব ম্যাচেইবিশ্বের যে প্রান্তেই খেলা হোক না কেন, ক্রিকেটপ্রেমী বাংলাদেশিদের ঢল নামবেই। দেশের মাটিতে হলে তো কথাই নেই! বাংলাদেশের সমর্থকদের চিৎকার-উল্লাস প্রতিপক্ষ শিবিরে ভয় ধরিয়ে দেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস তেমনটাই মনে করেন। তার মতে, দর্শকদের কারণেই বাংলাদেশে খেলা কঠিন।

বুধবার রাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে ফেসবুকে লাইভে দর্শকদের নিয়ে কথা হয় ডু প্লেসিসের। সেখানেই প্রসঙ্গক্রমে বাংলাদেশের সমর্থকদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। করোনাভাইরাসে দুই দেশের পরিস্থিতি জানার পাশাপাশি নিজেদের খোঁজখবর নেন দুজন। এক পর্যায়ে ডু প্লেসিস বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ককে জিজ্ঞেস করেন, ‘দর্শকশূন্য মাঠে খেলতে কেমন লাগবে?’

জবাবে তামিম বলেছেন, ‘এভাবে খেলাটা আমার ভালো লাগবে না। মনে হবে সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছি।’

বিশ্বজুড়েই ভারত ও বাংলাদেশি সমর্থকদের নামডাক আছে। ডু প্লেসিসের কথাতে সেটি উঠে এলো আরেকবার। অনেকটা মজা করেই দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক বললেন, ‘আমার মনে হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ ও ভারতে দর্শকশূন্য মাঠে খেলা উচিত। বাংলাদেশ ও ভারতে দর্শকদের সামনে খেলা মাঝেমধ্যে অসম্ভব হয়ে পড়ে।’

কথাটা শুনে তামিমের প্রতিক্রিয়া, ‘তাহলে তো সেটা তোমাদের পক্ষে চলে যাবে।’ এরপরই ডু প্লেসিস বাংলাদেশের সমর্থকদের প্রশংসায় ভাসালেন, ‘দর্শকদের কারণে তোমাদের ওখানে খেলাটা কঠিন। তোমাদের দর্শকরা অসাধারণ। তারা দারুণ উন্মাদনা তৈরি করে।’

সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়কের হয়তো ২০১৫ সালের বাংলাদেশ সফরের কথা মনে পড়ছিল। ওই সফরে তরুণ মোস্তাফিজুর রহমান-সৌম্য সরকারদের কাছে নাকানিচুবানি খেয়েছিল প্রোটিয়ারা।

ডু প্লেসিসের কথা শেষ হতেই তামিম বলে উঠলেন, ‘দর্শকশূন্য মাঠে আমাদের বিপক্ষে খেললে সেটা তোমাদের পক্ষে যাবে। আমাদের দর্শকরা অসাধারণ। আমাদের দর্শকরা খুবই আবেগী, খুবই ভালো।’

বাংলাদেশের দর্শকদের আবেগ থাকলেও ডু প্লেসির চোখে তারা অনেক ভদ্র। অস্ট্রেলিয়ার দর্শকদের সঙ্গে বাংলাদেশের দর্শকদের তুলনা করে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান দর্শকদের চেয়ে বাংলাদেশি দর্শকেরা বেশি ভদ্র।’