ব্রডের ৫০০

সতীর্থদের সঙ্গে স্টুয়ার্ট ব্রডের ৫০০তম উইকেট উদযাপনরাতে ঘুমটা সম্ভবত ভালো হয়নি স্টুয়ার্ট ব্রডের। দুশ্চিন্তায় নয়, উত্তেজনায়। ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া থেকে মাত্র ১ উইকেট দূরে থাকার আনন্দ দমিয়ে রাখাও তো কঠিন। বেসরিক বৃষ্টি আগের দিন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তা না হলে যে ফর্মে আছেন, তাতে ম্যানচেস্টার টেস্টের চতুর্থ দিনেই ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে যায় এই পেসারের নাম। পঞ্চম দিনের সকালে উদযাপনে আর দেরি করেননি। ক্রেগ ব্র্যাথওয়েটকে ফিরিয়ে ব্রড পূরণ করেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫০০ উইকেট।

আজ (মঙ্গলবার) ইংল্যান্ডের মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেটের এলিট ক্লাবে যোগ দিলেন ব্রড। তার ওপেনিং বোলিং সঙ্গী জেমস অ্যান্ডারসন প্রথম ইংলিশ হিসেবে মাইলফলকটি স্পর্শ করেছিলেন। এখানে কাকতালীয় একটা ব্যাপারও আছে, ২০১৭ সালে ব্র্যাথওয়েটকে ফিরিয়ে ৫০০তম উইকেট পেয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। ইতিহাস লেখার পথে ব্রডের শিকারও এই ক্যারিবিয়ান ওপেনার!

ব্র্যাথওয়েটকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে উপলক্ষটা রাঙিয়ে নেন ব্রড। গ্যালারিতে দর্শক থাকলে উদযাপনের রঙটা আরও রঙিন হতো তার। তবে সতীর্থদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ঠিকই। ক্রিকেট ইতিহাসের মাত্র ষষ্ঠ বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেট নেওয়ার মুহূর্তটা বল উঁচিয়ে উদযাপন করেছেন ৩৪ বছর বয়সী পেসার।

ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একাদশে জায়গা হারিয়েছিলেন ব্রড। ফিরে এসে গত দুই টেস্টে এখন পর্যন্ত তার শিকার ১৫ উইকেট। বাদ পড়ার রাগ-ক্ষোভ সব ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের ওপর উগড়ে দিচ্ছেন ম্যানচেস্টারে ১৪০তম টেস্ট খেলতে নামা ব্রড।

২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে তাকে ক্যাপ পরিয়েছিলেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন। ব্রডের কীর্তিকে তিনি দেখছেন এভাবে, ‘ও দুর্দান্ত, আর সেটা শুধু ইংলিশ ক্রিকেটের জন্য নয়, এই খেলাটির জন্যই। সে ৫০০ উইকেট পেয়েছে, হয়তো ৬০০ উইকেটও পাবে। আর স্টুয়ার্ট অনেক অ্যাশেজ সিরিজ জয়ে অবদান রাখবে।’

টেস্ট ক্যারিয়ারে দুটি হ্যাটট্রিক আছে ব্রডের। প্রথমটি ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে, দ্বিতীয়টি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৪ সালে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তার সেরা বোলিং ফিগার হলো ২০১৫ সালের অ্যাশেজে। ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের ওই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে ব্রড ১৫ রান খরচায় নিয়েছিলেন ৮ উইকেট।