সেমিফাইনালে জেমকন টাইটান্স

কক্সবাজারে শনিবার শেষ হচ্ছে লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। যেখানে ৬ দলের হয়ে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় দল আর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলা সাবেক ক্রিকেটাররা। এলসিটি টেন ডট টেনের আয়োজক এসিই ও ক্রিকবল। ইতিমধ্যে সেমিফাইনালের ৪ দল চূড়ান্ত হয়েছে। শেষ চারে খেলবে নারায়ণগঞ্জ ওয়ারিয়র্স, একমি স্ট্রাইকার্স, এক্সপো রেইডার্স ও জেমকন টাইটান্স।

গ্রুপ ‘এ’ থেকে ২ ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এক্সপো রেইডার্স, বৈশাখী বেঙ্গলস ও জেমকন টাইটান্স সমান ১ ম্যাচ করে জিতলেও রানরেটে এগিয়ে থাকায় শেষ চারে জেমকন। অন্য গ্রুপে নারায়ণগঞ্জ ওয়ারিয়র্স জিতেছে ৩ ম্যাচের সবগুলো আর একমি স্ট্রাইকার্স জিতেছে ২ ম্যাচ।

শনিবার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ ওয়ারিয়র্স-একমি স্ট্রাইকার্স ও এক্সপো রেইডার্স–জেমকন টাইটান্স। সেমিফাইনালে উঠতে না পারা ২ দল বৈশাখী বেঙ্গলস ও জাদুবে স্টার্স মুখোমুখি হবে বোল ফাইনালে। এছাড়াও সেমিফাইনালে পরাজিত দল মুখোমুখি হবে প্লেট ফাইনালে। ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে ১০ ওভার ১০ বলের এবারের লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির।

শুক্রবার গ্রুপ পর্বের ২য় দিনে জাদুবে স্টার্সকে ৫৫ রানে হারিয়েছে এক্সপো রেইডার্স। এক্সপো রেইডার্স টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে করে ১৩৩। ৩৫ করেন ওয়াসেল উদ্দিন আর তালহা যুবায়ের ৯ বলে করেছেন ২৬। বল হাতেও ওয়াসেল উদ্দিন নিয়েছেন ৩ উইকেট। জবাবে ৭৮ রানে ইনিংস শেষ হয় জাদুবে স্টার্সের।

জয় পেয়েছে নারায়ণগঞ্জ ওয়ারিয়র্সও। ৪ উইকেটে হারিয়েছে জেমকন টাইটান্সকে। জাভেদ ওমর বেলিমের অপরাজিত ৭৭ রানে ৪ উইকেটে ১০৬ করে জেমকন। জবাবে ২ বল আগেই জয় পায় নারায়ণগঞ্জ। ২৯ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সুমন ভূঁইয়া।

পরের ম্যাচেও হেরেছে জাদুবে স্টার্স। ৪৯ রানে জয়ী দল জেমকন। এই ম্যাচেও ফিফটি করেছেন জাভেদ ওমর বেলিম। ৩৫ বলে করেছেন ৬৭। ৭ উইকেটে ১১৭ করে জেমকন টাইটান্স। জবাবে জাদুবে স্টার্স ৭০ বলে করেছে ৮ উইকেটে ৬৮ রান। ম্যাচ সেরা জাভেদ ওমর বেলিম।

৩য় ম্যাচে এসে প্রথম হারতে হয়েছে একমি স্ট্রাইকার্সকে। ২৮ রানের জয় পেয়েছে এক্সপো রেইডার্স। ৩ উইকেটে ১১১ রান করে এক্সপো। জবাবে ৬ উইকেটে ৮৩ রানে থামে একমি। ২৬ রান আর ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা ফয়সাল হোসেন।

এছাড়া সেমিফাইনাল নিশ্চিতের জন্য মাঠে নামে বৈশাখী বেঙ্গলস ও নারায়ণগঞ্জ ওয়ারিয়র্স। শেষ বলে জয় পায় নারায়ণগঞ্জ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ১১১ রান করে বৈশাখী। তানভীর আহমেদের ৩৪ আর সুমন ভূঁইয়ার ৩৬ রানে ভর করেই জয় পায় নারায়ণগঞ্জ ওয়ারিয়র্স। ম্যাচসেরা সুমন ভূঁইয়া।