রান উৎসবের ম্যাচে পাকিস্তানকে জেতালেন রেজওয়ান

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়া পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ দারুণ সূচনা করেছে। সেরা ক্রিকেটারদের ছাড়াই পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপরও স্কোরবোর্ডে ১৮৮ রান তুলেছিলো প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। তাতেও অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি স্বাগতিকদের। মোহাম্মদ রেজওয়ানের দায়িত্বশীল ইনিংসের ওপর ভর করে ৪ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান।

শনিবার জোহানেসবার্গের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি লড়াই। আগে ব্যাটিং করে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮৮ রানের লক্ষ্য দেয় সফরকারী পাকিস্তানকে। সেই রান তাড়া করতে নেমে ১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা। এই জয়ে ৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো পাকিস্তান।

১৮৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু দলীয় ৪১ রানে অধিনায়ক বাবর আজমের (১৪) বিদায়ে বিপদে পড়ে সফরকারীরা। এরপর ফখর জামান (২৭) ও মোহাম্মদ হাফিজ (১৩) রানে আউট হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয় পাকিস্তানের সামনে। অবশ্য ওপেনিং নামা মোহাম্মদ রেজওয়ান তখন একপ্রান্তে থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অন্য প্রান্তে একের পর এক উইকেট পতনের পর ৫ নম্বরে নামা ফাহিম আশরাফ প্রোটিয়া বোলারদের উপর তাণ্ডব চালান।

শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের জিততে দরকার ছিল ১২ বলে ২২। সেই লক্ষ্যে ঠান্ডা মাথায় ফাহিম আশরাফকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন রেজওয়ান। ৫০ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় রেজওয়ান ৭৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তাকে সঙ্গ দেওয়া ফাহিম আশরাফ খেলেন ৩০ রানের ইনিংস। তার ১৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কার ঝড়ো ইনিংসটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ম্যাচটি জিততে।

প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে বেউরান হেনড্রিকস ৩২ রান খরচায় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া তাবরেজ শামসি দুটি এবং লিজাড উইলিয়ামস একটি উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মারক্রাম ও হেনরিখ ক্লাসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান দাঁড় করায়। ৩৬ রানে দুই উইকেট হারানো দলকে ম্যাচে ফেরান এইডেন। ৩২ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংস খেলেন এইডেন। এরপর অধিনায়ক হেনরিখ পাকিস্তানের বোলারদের উপর টর্নেডো ইনিংস খেলেন। ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি পাওয়া হেনরিখ ২৮ বলে ৫০ রান করে থেমেছেন। ২ চার ও ৪ ছক্কায় তিনি নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ নওয়াজ ২১ রান খরচায় দুটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া হাসান আলী দুটি এবং হারিস রউফ ও শাহেন শাহ আফ্রিদি একটি করে উইকেট নিয়েছেন।