সিরিজে সমতা ফেরাতে ক্যারিবীয়দের লক্ষ্য ৩২৪

জমে উঠেছে সেন্ট লুসিয়া টেস্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৯ রানে গুটিয়ে দিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পেরেছে ১৭৪ রান। ভাগ্যভালো যে প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা এগিয়ে (প্রথম ইনিংসে ২৯৮ রান) থাকায় ক্যারিবীয়দের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩২৪ রানের।

তৃতীয় দিন শেষে ৬ ওভারে ক্যারিবীয়রা কোনও উইকেট না হারিয়ে তুলতে পেরেছে ১৫ রান। স্বাগতিকরা এই লক্ষ্য অর্জনে সফল হলে দুই টেস্টের সিরিজ ড্র হয়ে যাবে। শেষ দুুই দিনে তাদের প্রয়োজন ৩০৯ রান। 

সে ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানও পাশে আছে তাদের। ক্যারিবীয়রা তিনশো’র বেশি স্কোর তাড়া করতে পেরেছে সাত বার (অস্ট্রেলিয়ার পরেই এ ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান দ্বিতীয়)। তবে সর্বশেষ চার বছরে সেটা হয়েছে মাত্র দুইবার!

এ দিনও পিচে আহামরি সুইং ছিল না। কিন্তু কেমার রোচ ও কাইল মেয়ার্স নিজস্ব দক্ষতায় বিপদে ফেলতে পেরেছিলেন প্রোটিয়াদের টপ ও মিডল অর্ডারকে। সাত উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন এই দু’জন।

পরিস্থিতি এমন ছিল যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়ারা ৭৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। মনে হচ্ছিল ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোরে অলআউট হওয়ার নতুন রেকর্ড সময়ের ব্যাপার। আগের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৪১ রান। কিন্তু তাদের সেই লজ্জা থেকে উদ্ধার করেছেন রাসি ভ্যান ডার ডাসেন। তিনি অষ্টম উইকেটে ৭০ রানের পার্টনারশিপ করেন পেসার কাগিসো রাবাদাকে নিয়ে।

রাসি ভ্যান ডার ডাসেন তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি। রাবাদা পান ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৪০ রান। রাবাদাকে রোচ তালুবন্দি করানোর পর প্রোটিয়াদের ইনিংস শেষ হয়েছে ১৭৪ রানে। অপরপ্রান্তে তখনও ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন রাসি ভ্যান ডার ডাসেন।

এই ইনিংসে পেসার রোচ ৫২ রানে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। মিডিয়াম পেসার কাইল মেয়ার্স নিয়েছেন ৩টি।              

অবশ্য দিনের প্রথমভাগ থেকেই ম্যাচটা বৃষ্টি বিঘ্নিত ছিল। ভেজা আউট ফিল্ডের কারণে প্রথম সেশনে কোনও খেলাই হয়নি। আরও কয়েকবার বৃষ্টি হানা দেওয়ায় মাত্র ৫৯ ওভার মাঠে গড়িয়েছে।