নতুন বলে দায়িত্ব নিয়ে বোলিং করে যেতে চান মেহেদী

ক্যারিয়ারের ১৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন মেহেদী হাসান। নতুন বলে ইনিংস উদ্বোধন করেছেন ৬ ম্যাচেই। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে ৫ ম্যাচেই নতুন বলে বোলিং করেছিলেন। শুরুতে অজি ব্যাটসম্যানদের সাজঘরে ফিরিয়ে কিংবা রান আটকে রেখে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছেন সফলভাবেই। এখন আগামীতেও এমন দায়িত্ব নিয়ে বোলিং করে যেতে চান এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডার।

রবিবার অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমকে মেহেদী বলেছেন, ‘নতুন বলে বল করলে উপভোগ তো করতেই হয়। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাঝেমধ্যে মার খেলে তো উপভোগটা থাকে না। যেহেতু টি-টোয়েন্টি, অনেক চিন্তা ভাবনা করে বল করতে হয়। তাৎক্ষণিক অনেক কিছু করতে হয়। সেক্ষেত্রে নতুন বলের ভূমিকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।  দলের মূল অফ স্পিনার হিসেবে দায়িত্ব তো থাকেই।’

একই পরিকল্পনা নিয়ে বিদেশের মাটিতে সাফল্য পাওয়া কঠিন। তাই কন্ডিশন বিবেচনা করে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার বিষয়টা জানা আছে তার, ‘ভিন্ন দেশে খেলতে গেলে ভিন্ন পরিকল্পনার প্রয়োজন। বাংলাদেশে যেরকম, অন্যদেশেও একরকম নয়। ’

কোচদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মেহেদী বলেছেন, ‘আমাদের কোচিং প্যানেলে যে স্পিন কোচ ও প্রধান কোচ আছেন, তারা অনেক সহায়তা করেন। এছাড়াও সিনিয়র ক্রিকেটাররা বলেন যে এই কন্ডিশনে এইভাবে নয়, ওইভাবে। এটাই মিলিয়ে করতে হয়। যেহেতু ক্রিকেট খেলোয়াড়, সব কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। এখানে কোন অজুহাতের জায়গা নেই।’ পাশাপাশি ভিন্ন কন্ডিশনের জন্য মানসিকতাকেও গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন মেহেদী, ‘আলাদা কন্ডিশনে খেলতে গেলে মাইন্ড সেটআপ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আবহাওয়াও আলাদা থাকে। সেক্ষেত্রে মানিয়ে নিতে হলে অনেক বুদ্ধি করে এবং অফ স্পিনার হিসেবে বল করতে হয়। এখন ভালো উইকেটে কীভাবে পরিপূর্ণভাবে ওভারকাম করা যায় এবং উন্নতি করা যায়, সেই চেষ্টাই করছি।’

শুধু বোলিংয়ে নয়, ব্যাটিংয়েও ভূমিকা রাখতে চান মেহেদী। ১৪ ম্যাচের মধ্যে ব্যাটিংয়ে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটিতে ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি। তাই ব্যাটিং নিয়ে মেহেদীর পরিকল্পনা, ‘অবশ্যই ব্যাটিংয়ে আমার ভূমিকা দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ১০ রান হোক বা ৫ রান বা ২০ রান। আমি যে পজিশনে ব্যাট করি, আসলে তখন সেঞ্চুরি করার সুযোগ থাকে না, হাফসেঞ্চুরিও না। তখন ১০ রানই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়।’