প্রথম দিন পিচ অনুকূলে থাকলেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। ২৪৭ রানে অলআউট হয়েছে তারা। তবে শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় দিন ব্যাটিং পিচে ছড়ি ঘুরিয়েছে। ৮ উইকেট হাতে রেখে তাদের লিড ৪৩ রানের। বৃহস্পতিবারের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার উইকেটকিপার ব্যাটার কুশল মেন্ডিস এসে বললেন, ১৫০-২০০ রানের লিড তাদের দলকে শক্ত অবস্থানে রাখবে। কারণ শেষ দুই দিন স্পিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তার প্রত্যাশা।
২ উইকেটে ২৯০ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। পাথুম নিসাঙ্কার সঙ্গে দিনেশ চান্ডিমালের ১৯৪ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে চেপে ধরেছিল তারা। যদিও ৯৩ রানে আউট হতে হয়েছে চান্ডিমালকে। নাইটওয়াচম্যান প্রবাথ জয়াসুরিয়া ৫ রানে অপরাজিত, অন্য প্রান্তে ১৪৬ রানে খেলছেন নিসাঙ্কা।
তৃতীয় দিনের পরিকল্পনা নিয়ে কুশল বললেন, ‘আমরা খুব ভালো অবস্থানে আছি। আগামীকাল আমাদের পুরোটা দিন ব্যাট করতে হবে। আমরা চেষ্টা করবো ১৫০ থেকে ২০০ রানের লিড নেওয়ার। আমরা আশা করি ষেশ দুই দিন উইকেট স্পিনারদের হবে।’
তিনি আরও বললেন, ‘আমরা যত বেশি সম্ভব রান করার পরিকল্পনা করছি, চারশর বেশি। আশা করি সেটা পারবো কাল।’
শেষ দুই দিন স্পিন কার্যকরী ভূমিকা রাখবে মনে করেন কুশল, ‘ঘাস শুকিয়ে গেছে। আশা করি এটা আরও টার্ন করবে। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করার দিকে আমরা তাকাচ্ছি না। আমরা এখনই যত বেশি রান তোলা যায়, সেটাই ভাবছি। তাদেরকে চাপে রাখতে চাই।’
নিসাঙ্কার ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন কুশল। একই সঙ্গে প্রতিপক্ষকে ২৫০ এর নিচে গুটিয়ে দিতে পেসারদের স্বীকৃতি দিতে ভোলেননি তিনি।
কুশল বললেন, ‘সে (পাথুম) দেখার মতো ব্যাটিং করেছে। খুব ভালো। আগের সিরিজেও তার রান ছিল। গলে সে ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেনি, এটা দুর্ভাগ্যজনক। আশা করি এখানে পারবে। তিন ফরম্যাটেই সে আমাদের ফর্মে থাকা ব্যাটার। সে যে কঠোর পরিশ্রম করে, সেটা দৃশ্যমান।’
পেসারদের নিয়ে তার কথা, ‘আমরা যে পরিকল্পনা করেছিলাম, পেসাররা তার বাস্তবায়ন করেছে। তাদের লেন্থ ও লাইন ছিল গোছালো। যে পিচে ততটা গতি নেই, সেখানে এমন কিছু প্রয়োজন, শুধু নতুন বল নয়, পুরানো বলেও। শ্রীলঙ্কায় আমার দেখা আমাদের ফাস্ট বোলারদের সেরা বোলিং।’
শেষে তিনি বললেন, ‘আমরা জানতাম উইকেট মন্থর হবে এবং টার্ন করবে। আমাদের ফাস্ট বোলাররা ছিল অসাধারণ। তারা অনেক কৃতিত্বের দাবিদার। আমি বিশ্বাস করি এখন পর্যন্ত আমরা যা দেখছি, চতুর্থ দিনে কন্ডিশন একেবারে পাল্টে যাবে।’