৩ গোল খেয়ে যা বললেন বার্সেলোনা কোচ

৮-২ গোলের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার অভিযান। কিন্তু এই মিশনে ‘সেনাপতি’ই তো নেই বার্সেলোনার! যাকে কেন্দ্র করে একদশকের বেশি সময় পথচলা, সেই লিওনেল মেসি ছেড়ে গেছেন ক্যাম্প ন্যু। ‘প্রতিশোধ’ পর্ব তো দূরে থাক, চ্যাম্পিয়নস লিগ গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ ৩-০ গোলে হারতে হয়েছে কাতালানদের। ঘরের মাঠে আরেকটি লজ্জার পর দলের সেরা কয়েকজন খেলোয়াড়ের না থাকার বিষয় সামনে এনে কিছুটা আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টাও হয়তো করলেন কোচ রোনাল্ড কোম্যান।

বায়ার্ন ম্যাচে ডাচ কোচ দলে পাননি আনসু ফাতি, সের্হিয়ো আগুয়েরো ও উসমান ডেম্বেলেকে। অর্থাৎ, মেসি চলে যাওয়ার পর যাদের ঘিরে আক্রমণ সাজানোর পরিকল্পনা কোম্যানের, তাদের কেউই ছিলেন না চোটের কারণে। তাই এই ত্রয়ী ফিরলে বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়নস লিগে উন্নতি করবে বলে ভক্ত-সমর্থকদের আশ্বস্ত করলেন ডাচ কোচ।

৩ গোল হজমের পর কোম্যান বলেছেন, ‘মাত্র তিনজন স্ট্রাইকার ছিল। আমরা জানি সের্হিয়ো রবের্তো উইঙ্গার  নয়। ব্যাপারটা হলো এখন আমাদের কয়েক সপ্তাহ এভাবে কাটাতে হবে। কারণ পরে গিয়ে আমরা আগুয়েরো, ডেম্বেলে ও আনসু ফাতির মতো খেলোয়াড়দের পাবো।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘আমাদের অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে, দুই-তিন বছর পর যারা ভালো করবে। আমাদের মেনে নিতে হবে কঠিন পরিস্থিতি চলছে। তবে আমাদের উন্নতি ও চোটাক্রান্ত খেলোয়াড়দের সেরে ওঠার অপেক্ষা করতে হবে।’

বড় ব্যবধানে হারের পরও দলের মনোভাবে কোনও প্রশ্ন নেই কোম্যানের, ‘ট্যাকটিক্যালি একটা সময় আমরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিলাম। মনোভাব নিয়ে আমার কোনও প্রশ্ন নেই, কারণ পার্থক্যটা হলো মানের। বায়ার্ন দলটা একসঙ্গে অনেকদিন ধরে খেলছে। তাছাড়া তারা বেঞ্চও সমৃদ্ধ করেছে।’

বায়ার্নের সঙ্গে বার্সেলোনার পার্থক্যও তুলে ধরলেন এই কোচ, ‘আমাদের অনেক খেলোয়াড় আছে যাদের বয়স ১৯ অথবা ২০। যদি আপনি (বায়ার্ন মিউনিখের) খেলোয়াড়দের সঙ্গে তুলনা করতে যান, পার্থক্য এমনিতেই খুঁজে পাবেন।’