বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারছেন না উইলিয়ামসন

কনুইয়ের চোট অনেক দিন হলো ভুগাচ্ছে কেন উইলিয়ামসনকে। গত মার্চে বাংলাদেশ যখন নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল, তখনও খেলতে পারেননি। জানুয়ারিতে আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে কিউইদের সিরিজ। দুই ম্যাচের টেস্টের লড়াই শুরু নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে। তবে কনুইয়ের পুরনো চোটে এবারের সিরিজও খেলতে পারবেন না নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক।

ভারত সফর শেষ করে দেশে ফিরে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। যাওয়ার আগে উইলিয়ামসন সম্পর্কে এই তথ্যই দিয়ে গেছেন কিউইদের প্রধান কোচ গ্যারি স্টেড। জানিয়েছেন, লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে এই ব্যাটারকে। ফলে সামনেই থাকা বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে উইলিয়ামসনের।

কনুইয়ের চোট নিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেললেও শঙ্কা ছিল উইলিয়ামসনকে নিয়ে। এই একই সমস্যায় আইপিএলের প্রথম দিকের বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিয়েও শঙ্কা ছিল। যদিও ফাইনালসহ কিউইদের হয়ে সাত ম্যাচের সবক’টি খেলেছেন। তবে ভারত সফরে টি-টোয়েন্টিতে আবার খেলতে পারেননি। কানপুরের প্রথম টেস্টে ফিরলেও মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় টেস্টে দর্শক হয়ে যেতে হয় উইলিয়ামসনকে।

তিনি ‍না খেলায় মুম্বাই টেস্ট ৩৭২ রানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। একই সঙ্গে ১-০ ব্যবধানে হেরেছে সিরিজ। সফর শেষ করে দেশে ফেরার আগে স্টেড তার দলের অধিনায়কের চোট নিয়ে খারাপ খবরই দিয়েছেন। কনুইয়ের চোটে লম্বা সময় মাঠের বাইরে কাটানোর আশঙ্কা দেখছেন উইলিয়ামসনের। মুম্বাইয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিউই কোচ বলেছেন, ‘আগের চোটে আট-নয় মাস ভুগেছিল, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর থেকে আইপিএল ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত। আমার মনে হচ্ছে, এবারও সময়টা ওইরকমই হবে। যদিও এই মুহূর্তে আসলে আমরা নিশ্চিত করে সময়টা বলতে পারবো না।’

চোটের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়াতেই সমস্যাটা বারবার ফিরে আসছে, স্টেডের বক্তব্য এমনই, ‘কেনই (উইলিয়ামসন) ব্যাপারটাকে কঠিন করে তুলেছে। আমাকে ভুল বুঝবেন না। সে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে ভালোবাসে। ও সবকিছু খেলতে চায়।’

নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী মিশন বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট। ১ জানুয়ারি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে শুরু হবে দল দুটির লড়াই। দুই ম্যাচের এই সিরিজে কিউইরা পাচ্ছে না তাদের নিয়মিত অধিনায়ককে।