প্রশ্নটা শুনতেই মুমিনুল অবাক

চতুর্থ দিনের চা বিরতির একটু আগে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়। কিন্তু শুরু থেকেই অদ্ভুত ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে খেলতে থাকেন ব্যাটাররা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট দিয়ে শুরু ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিল। প্রথম ইনিংসে নাজমুল হোসেন শান্ত কিংবা জয়ের উইকেট হারানো কিছুটা স্বাভাবিক মনে হতে পারে। কিন্তু বাকিরা অদ্ভুত সব শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা উন্নতি হলেও ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ বদল হয়নি। অথচ ঢাকা টেস্টে এমন ব্যাটিং করেও মুমিনুল খেলার ধরন নিয়ে প্রশ্ন শুনতেই বিস্মিত, হতবাক!

ঢাকা টেস্টে দেড় দিনে দুইবার অলআউট হয়ে ইনিংস ও ৮ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। বাজে হারের পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুলের সামনে প্রশ্ন এলো, টেস্টে এমন ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ কেন? বিস্ময় কণ্ঠে মুমিনুল বললেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না কোনোরকম আক্রমণাত্মক কেউ খেলেছে। আমি আসলে আপনারদের প্রশ্ন শুনে খুব অবাক হয়ে গেছি। কেউ আগ্রাসী ছিল না। যারা শট খেলে আউট হয়েছে তারা ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়ে আউট হয়েছে। সবাই বল বুঝে মারছিল, হয়তো দুর্ভাগ্যজনকভাবে কানেক্ট হয়নি। মুশফিক ভাই স্কয়ার অব দ্য উইকেটে মারার চেষ্ট করেছিল, কানেক্ট হয়নি। এসব উইকেটে বেশি রক্ষণাত্মক খেলাটা কঠিন। হয়তো ওই সময় আউট হয়ে গিয়েছে বলে আপনাদের মনে ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।’

মুমিনুল আরও যোগ করেছেন, ‘আপনি যে ফরম্যাটই খেলেন না কেন সবসময় রানটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। সবসময় যদি খালি ডিফেন্সিভ খেলবো ভাবি, তাহলে কিন্তু কঠিন। মাঝেমাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়। আর মুশফিক ভাইয়ের আউট (রান আউট) যদি দেখেন, খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলবো।’

তাহলে কি চাপ কাটাতেই এমন ব্যাটিং? মুমিনুল বললেন, ‘আমার ওরকম কিছু মনে হয়নি। সাকিব ভাই আর মিরাজ যখন ব্যাট করছিল চাপটা কাটিয়ে উঠেছিল। কিন্তু আমার মনে হয় না ওরকম চাপ ছিল।  হয়তো সিলেকশনে সমস্যা ছিল। আমার মনে হয় ও (মিরাজ) বেশি ডিফেন্সিভ ছিল।’

বুধবার টেস্টের পঞ্চম দিনে বাংলাদেশ দল যখন মাঠে নামে হার এড়াতে হাতে তখন ১৩ উইকেট। সাড়ে ছয় ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়া কঠিন ছিল না। কিন্তু দিনের খেলা শেষ হওয়ার ৫ ওভার আগেই বাংলাদেশ অলআউট। ১৩ উইকেট নিয়েও কি দিন পার করা সম্ভব ছিল না, এমন প্রশ্নে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, ‘কোনোভাবেই অসম্ভব ব্যাপার ছিল না। আগেই বলে দিয়েছি আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও খুব ভালো সুযোগ ছিল। আমাদের টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে হেরে গেছি। এখানে অজুহাত দেওয়ার কিছু নেই।’