আগামীকাল (বুধবার) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৮ ফেব্রুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে মুখিয়ে আছে দলটি।
পুরো টুর্নামেন্টে নানা ঘটনায় মাঠের বাইরের খবরে শিরোনাম হতে হয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। যা প্রভাব ফেলেছে তাদের মাঠের পারফরম্যান্সে। তবে সেটি কাটিয়ে উঠেছে তারা। পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফ খেলার সুযোগ পায় দলটি। সোমবার এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে বিদায় করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নেয় আফিফ হোসেনরা। এখন কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনাল মঞ্চে ওঠার স্বপ্ন দেখছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
কয়েক দফা অধিনায়ক বদল করে মাঠের বাইরের নানা আলোচনা থামিয়ে জয়ের ধারায় ফিরেছে চট্টগ্রাম। টানা তিন জয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে তারুণ্যনির্ভর দলটি। পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের দলটা তারুণ্যে ভরা। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে আমরা সবার ওপরেই (পয়েন্ট টেবিলে) ছিলাম। পরবর্তীতে নিজেদের ভুলে পিছিয়ে পড়েছি। আমরা আমাদের ভুল থেকে শিখেছি। টানা তিন জয় ও কোয়ালিফায়ারে খেলা এ কারণেই সম্ভব হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) কুমিল্লার বিপক্ষে প্রধান পরিকল্পনাই হচ্ছে জয়। এটা যেহেতু ডু অর ডাই ম্যাচ, তাই ভালো একটা জয় নিয়ে ফাইনালে যেতে চাই।’
যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের পেসার মৃত্যুঞ্জয়। চট্টগ্রামের হয়ে শুরুর দিকে সুযোগ না পেলেও শেষ দিকে টানা সাত ম্যাচ খেলেছেন। অন্যদের চেয়ে ৪ ম্যাচ কম খেললেও চট্টগ্রামের শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক তিনি। ৭ ম্যাচে তার শিকার ১৪ উইকেট। বিপিএলে ১৭ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট সংগ্রাহক মোস্তাফিজ।
মৃত্যুঞ্জয়ের লক্ষ্য বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়া, ‘এই মৌসুমটা আমার বেশ ভালো যাচ্ছে। তাই লক্ষ্য সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় জায়গা করে নেওয়া। ৭ ম্যাচে আমার ১৪ উইকেট, সর্বোচ্চ উইকেট ১৭। চেষ্টা করবো যত বেশি সম্ভব উইকেট সংগ্রহের।’