লঙ্কানদের পথে বাধা হয়ে থাকলেন মুশফিক

মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালটা নিজেদের বলতেই পারে শ্রীলঙ্কা। ২৮ ওভার বল করে ৮৪ রান দিয়েছে। বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসটা সমাপ্তির পথে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তার পরেও পুরোপুরি স্বস্তি পেতে দেয়নি স্বাগতিক দল। বিশেষ করে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ১৭১ রানের ইনিংসে এখনও বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ ব্রেকে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ১১৩ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৬১ রান।

টস জিতলেও বাংলাদেশের প্রথম দিনের প্রথম সেশনটা ছিল বিব্রতকর। ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ায় লিটন দাস-মুশফিকুর রহিমের অবিশ্বাস্য লড়াইয়ে। যে লড়াই আবার ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছে বিশ্বরেকর্ডও। দ্বিতীয় দিন অবিচ্ছিন্ন থেকেই খেলতে নামে এই জুটি। ৫ উইকেটে ২৭৭ রানে দিন শুরুর পর মাত্র ৭ ওভার স্থায়ী ছিল তা। যোগ করে আর ১৯ রান। ৯২.১ ওভারে লিটন দাসকে ফিরিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভেঙেছেন কাসুন রাজিথা। অফস্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে তালুবন্দি হন লিটন। কয়েকবার জীবন পাওয়া এই ব্যাটার অবশেষে ফেরেন ২৪৬ বলে ১৪১ রান করে। তাতে ছিল ১৬টি চার ও ১টি ছয়ের মার।

ষষ্ঠ উইকেটে লিটন-মুশফিক জুটি বাংলাদেশের সেরা তো অবশ্যই। কিন্তু ২৫ রানের কমে ৫ উইকেট হারানো কোনও দলের ষষ্ঠ উইকেটে শতরান ছাড়ানো জুটি এটাই প্রথম। লিটনের বিদায়ের আগ পর্যন্ত ২৭২ রান যোগ করেছে এই পার্টনারশিপ। এই জুটিতে ভর করেই সুবিধাজনক একটি জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছে বাংলাদেশ। রাজিথা একই ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনকে শূন্য রানে ফেরালেও মুশফিক ঠিকই নিজের ইনিংসটাকে দেড়শো পার করে ছেড়েছেন।

অবশ্য লিটন-মোসাদ্দেক আউট হওয়ার পর দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে তাতে বাধা হয়ে থেকেছেন মুশফিক। তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রান যোগ করেন তিনি। ১৫ রান করা তাইজুলকে শর্ট বলের ফাঁদে ফেলে এই প্রতিরোধ ভাঙেন আসিথা ফার্নান্ডো। ৩৭ বলের ইনিংসে ২টি চার মারা তাইজুল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। তার পর দ্রুত খালেদ আহমেদকেও গ্লাভসবন্দি করান লঙ্কান এই পেসার। তার পরেও প্রান্ত আগলে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ১৭১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন মুশফিক। তার সঙ্গে রয়েছেন এবাদত হোসেন (০)। 

এখন পর্যন্ত লঙ্কানদের সেরা বোলার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্ডো। রাজিথা নিয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট। আসিথা নিয়েছেন ৪টি।