ভারতে টানা ব্যর্থ মুমিনুল

দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি হার দিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিতে একই পরিণতি। এদিন বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ৫৮ রানে হেরে যায়। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ও টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে গঠিন দলকেই তামিলনাড়ু পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তামিলনাড়ু একাদশের বিপক্ষে রীতিমতো খাবি খেয়েছেন সিনিয়র ক্রিকেটার মুমিনুল হক-মোহাম্মদ মিঠুনরা।  

চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে ৩০৭ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৪০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশে ‘এ’ দল। এরপর বৃষ্টির কারণে একটি বলও না গড়ালে বাংলাদেশ ডি/এল মেথডে ৫৮ রানে হেরে যায়। টপ অর্ডারের পর মিডল অর্ডার ব্যর্থ হওয়াতেই ভারতে এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। তৌহিদ আফ্রিদির ব্যাট থেকেই কেবল বলার মতো ইনিংস এসেছে। ৭৫ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় আফ্রিদি খেলেন অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস। বাকিদের মধ্যে সাইফ হাসান ৩০ ও জাকির আলী অনিক খেলেন হার না মানা ৩৬ রানের ইনিংস। বাকিদের মধ্যে এনামুল হক, মুমনিুল, মিঠুন, মাহমুদুল হাসান জয়- কেউই ভালো ব্যাটিং করতে পারেননি।

প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন জয়। প্রথম ম্যাচে ১ রান করলেও এই ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। চার দিনের ম্যাচেও ভালো করেননি তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে রান মোটে ৩। টপ অর্ডার ব্যাটার এনামুলও ব্যর্থ হয়েছেন। চার দিনের ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২ রান। দুই ওয়ানডেতে ৩ ও ২৪ রান। মিডল অর্ডারে মোহম্মদ মিঠুন চার দিনের ম্যাচে রান করলেও ওয়ানডে সিরিজে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে রান খরায় ভোগা মুমিনুল ভারতেও নিজের ছায়া হয়ে আছেন। 

চার দিনের ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মিঠুন (১৫৬)। তবে ওয়ানডে ম্যাচে রান করতে পারেননি। দুই ম্যাচে তার রান ১ করে, মাত্র ২। এদিকে মুমিনুল চার দিনের ম্যাচের এক ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি পেলেও বাকি ইনিংসগুলোতে হতাশাজনক পারফরম্যান্স।। প্রথম ম্যাচে ২ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রান। ওয়ানডেতেও একই অবস্থা। প্রথম ম্যাচে ১ রান করা মুমিনুল দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৬ রান।

সামনেই ভারত সিরিজ। তাদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দুটি টেস্ট। তার আগে মুমিনুলের ফর্ম ফিরে না পাওয়া দুশ্চিতারই বটে!