‘অন্যরা সুযোগ মিস করে না, আমরা করি’

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ক্যাচ মিস কিংবা মিস ফিল্ডিং বাংলাদেশ দলের জন্য নিয়মিত ঘটনা। ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসের উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ। এই সুযোগ হাতছাড়া করার মাশুল চড়া মূল্যে দিল স্বাগতিকরা। ম্যাচের পর অধিনায়ক সাকিবের কণ্ঠে শোনা গেল হতাশার সুর।

রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে আধিপত্য বিস্তার করলেও ৩ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ হতে হলো সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে। টেস্টের বেশিরভাগ সেশনেই আধিপত্য দেখিয়েছে ভারত। তবে তৃতীয় দিনের শেষ ঘণ্টা ও চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টায় দাপট দেখায় বাংলাদেশ। সেই দাপটের কাছে ভারত পুরোপুরি পরাস্ত হতে পারেনি বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায়।

সুযোগ মিসের সেই আক্ষেপ সংবাদ সম্মেলনে করে গেলেন সাকিব, ‘একটু তো হতাশাজনক। কারণ, এগুলোই হয়তো অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ওদের হয়তো প্রথম ইনিংসে রান ৩১৪ না হয়ে ২৫০ হতে পারতো। দ্বিতীয় ইনিংসেও অবশ্যই সুযোগ ছিল। এসব ক্রিকেটের অংশ, তবে হতাশাজনক যে অন্য দলগুলো এসব মিস করে না, আমরা যেগুলো করি।’

ফিল্ডিংয়ে নিজেদের উন্নতি হলেও ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভালো না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সাকিব, ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা ভালো ফিল্ডিং করেছি। বেশ ভালো করেছি। ওয়ানডে সিরিজেও (ভারতের বিপক্ষে) ভালো করেছি। টেস্ট ম্যাচে আমরা ওভাবে ভালো করতে পারিনি। হতে পারে মনোযোগের ঘাটতি। কে জানে, হতে পারে ফিটনেসের ঘাটতি বা অন্য কিছুও হতে পারে।’

প্রথম ইনিংসে ৯৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল ভারত। কিন্তু পান্ত ও আইয়ারের ১৫৯ রানের আক্রমণাত্মক জুটিই সব বদলে দেয়। অথচ দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ভাঙতে পারতো এই জুটি! দুই ব্যাটারকেই দুবার করে জীবন দিয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহান, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিমরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ রানে জীবন পেয়ে সেটি কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জেতান রবীচন্দ্রন অশ্বিন।

ভারত ও বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ফিল্ডিং, এমনটাই মনে করেন সাকিব, ‘আমি নিশ্চিত, অন্য কোনও দলই এত সুযোগ দিত না, যতটা সুযোগ আমরা দিই। অনেক ক্ষেত্রে নিয়মিত কিছু ক্যাচ কিংবা গ্রাউন্ড ফিল্ডিং আমরা মিস করে ফেলি, যেটা অন্য দেশগুলো করে না। এই জায়গায় উন্নতি করতে পারলে অন্য জায়গায় আমাদের খুব বেশি পার্থক্য থাকবে না। এ টেস্টে এই জিনিসগুলোই (ক্যাচ মিস) আমাদের জন্য পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। আমাদের বোলারদের হয়তো ১৩ থেকে ১৪টি সুযোগ তৈরি করতে হয় ১০ উইকেট নিতে, অন্যদের ক্ষেত্রে যেটা করতে হয় না।’