সিলেটে হারে শুরু মাশরাফিদের

৭ ম‌্যাচে ৬ জয় নিয়ে সিলেটে পা রেখে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তাই হোম টিমকে বরণ করতে এয়ারপোর্টে হাজির ছিল প্রায় হাজারখানেক মোটরবাইক। মাশরাফি নেতৃত্বে আছেন বলেই সিলেটবাসী দলকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু নিজেদের শহরে এসে হোঁচট খেতে হয়েছে তাদের। রংপুর রাইডার্সের বোলিং তোপে ৯২ রানেই অলআউট হয়েছে সিলেট। সেই রান ২৬ বল আগে ৪ উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলেছে রংপুর।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে দুই পেসার তানজীম হাসান সাকিব ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দৃঢ়তায় কোনও মতে সিলেট ৯২ রান সংগ্রহ করেছে। জবাবে সাবলীল ব্যাটিং করে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর। মাশরাফি অবশ্য এক ওভারে পর পর দুই উইকেট নিয়ে কিছুটা চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। কিন্তু স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান না থাকায় চাপটা বেশিক্ষণ থাকেনি।

দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও নাঈম শেখ মিলে ২৭ রানের জুটি গড়েছেন। তার পর নবম ওভারে পঞ্চম ও শেষ বলে মাশরাফি তুলে নেন মেহেদী হাসান (৮) ও শোয়েব মালিককে (০)। দ্রুত দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে স্বাগতিক বোলাররা। কিন্তু বোলারদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে রনি তালুকদার ও মোহাম্মদ নওয়াজ অনায়াসেই ম্যাচ বের করে নিয়েছেন।

রনি ৩৮ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৩ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন নওয়াজ। তাদের অবিচ্ছিন্ন ২৭ রানের জুটির ওপর দাঁড়িয়ে রংপুর ১৫.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ নেওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্স প্রথম ওভার থেকেই অস্বস্তি নিয়ে ব্যাটিং করেছে। হাসান মাহমুদ ও আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের গতি ঝড়ে বিধ্বস্ত হয় সিলেটের ব্যাটিং অর্ডার। ১৮ রানে হাওয়া ৭ উইকেট! ধ্বংস্তুপ থেকে দলকে উদ্ধার করে তানজীম হাসান সাকিব ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার জুটি। তাদের দৃঢ়তায় ৯২ রান তুলতে পারে দলটি।  সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন সাকিব। আর মাশরাফির ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। দুজনের জুটিতে যোগ হয় ৪৮ রান।

রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নেন হাসান মাহমুদ ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই। ২ উইকেট নেন মেহেদী। ১ উইকেট নেন হারিস রউফ।