ভারতের রেকর্ড রানে চাপা পড়লো অস্ট্রেলিয়া

গত জানুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ইন্দোরে সবশেষ ম্যাচে ভারত করেছিল ৩৮৫ রান। হাই স্কোরিং ভেন্যু হিসেবেই পরিচিত হলকার ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কিন্তু টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের মতো হতবাক করা সিদ্ধান্ত নিলেন অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। যা হওয়ার তাই হলো। রবিবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অজিদের বিপক্ষে ভারত তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ করলো।

শুবমান গিল ও শ্রেয়াস আইয়ারের সেঞ্চুরি এবং লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদবের হাফ সেঞ্চুরিতে ভারতের স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে ৩৯৯ রান! ৫ উইকেট হারিয়ে এই রান তুলে ফেলে স্বাগতিকরা।

১৬ রানে রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে (৮) ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ শুরু এনে দেন জশ হ্যাজেলউড। তারপর চোখে সর্ষেফুল দেখেন সফরকারী বোলাররা। শ্রেয়াস ও গিলের ২০০ রানের জুটি। ৩১তম ওভারে গিয়ে তারা বিচ্ছিন্ন হন শন অ্যাবটের বলে। ৯০ বলে ১১ চার ও ৩ ছয়ে ১০৫ রানে থামেন শ্রেয়াস।

ইনিংসের হিসাবে সবচেয়ে কম সময়ে ভারতের হয়ে ছয়টি ওয়ানডে শতকের মালিক হন গিল। আর সপ্তম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে এক বর্ষপঞ্জিকায় পাঁচ শতক হাঁকানোর কীর্তি গড়লেন তিনি। ৯২ বলে সেঞ্চুরি করার পর আর পাঁচ বল খেলেন গিল। তার ৯৭ বলে ১০৪ রানের ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ৪ ছয়।

তারপর লোকেশ রাহুল ও ইশান কিষাণের জুটিতে তিনশ পার করে ভারত। ৪১তম ওভরে ইশান (৩১) ফিরে যাওয়ার পর ক্রিজে নেমে তাণ্ডব চালান সূর্যকুমার। ৪৪তম ওভারে ক্যামেরন গ্রিনের বলে টানা চার ছক্কা মেরে ২৬ রান তোলেন। ২৪ বলে তিন চার ও পাঁচ ছয়ে টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করেন সূর্যকুমার।

রাহুল ৩৮ বলে ৫২ রানে ফিরে গেলেও সূর্যকুমারের ব্যাটে চারশ রানের একেবারে কাছে পৌঁছায় ভারত। ৩৭ বলে ছয়টি করে চার ও ছয়ে ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া তাদের যৌথ সর্বোচ্চ ১৯টি ছক্কা হাঁকায়। এদিন প্রথম দল হিসেবে ওয়ানডেতে ৩ হাজার ছয়ের মাইলফলকে পৌঁছায় ভারত।

ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বল করেন গ্রিন। ২ উইকেট নিয়ে ১০৩ রান দেন তিনি। এছাড়া অ্যাবট দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯১ রান খরচ করেন।