সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত ৪১.৩ ওভারে ২৬১/৩ (কোহলি ১০৩*, রাহুল ৩৪*, আইয়ার ১৯, গিল ৫৩, রোহিত ৪৮)
বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৫৬/৮ (মোস্তাফিজ ১*, শরিফুল ৭*, মাহমুদউল্লাহ ৪৬, নাসুম ১৪, মুশফিক ৩৮, তাওহীদ হৃদয় ১৬, তানজিদ হাসান ৫১, নাজমুল হোসেন শান্ত ৮, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩, লিটন ৬৬)
ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী।
ভারতকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। আরেকটি হারের হতাশায় নিমজ্জিত তারা। আর চার ম্যাচের সবগুলো জিতে বিশ্বকাপে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখলো স্বাগতিক দল।
ভারতকে জেতানোর পথে বিরাট কোহলি সেঞ্চুরির জন্য চাপে পড়েছিলেন। একটা সময় লক্ষ্য কমতে থাকায় শতক হাঁকানো নিয়ে সংশয়ে ছিলেন তিনি। সিঙ্গেলস-ডাবলসে দলকে সমতায় নেওয়ার সময় তার রান ছিল ৯৭। ৪২তম ওভারে নাসুম আহমেদের প্রথম দুই বল ডট দিলেন। বাংলাদেশি স্পিনারের প্রথম বল লেগ সাইড দিয়ে ছেড়ে দেন, ওয়াইড হলেও আম্পায়ার কল করেননি। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নেননি কোহলি। তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন এবং দলকে জয়ের বন্দরে নেন ডানহাতি ব্যাটার। অন্য প্রান্তে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন লোকেশ রাহুল। ৯৭ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা কোহলি।
৪৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে শচীন টেন্ডুলকারের (৪৮) আরও কাছে পৌঁছে গেলেন কোহলি।
আইয়ারকে প্যাভিলিয়নে পাঠালেন মিরাজ
৩০তম ওভারে বল হাতে নিয়ে ভারতের তৃতীয় উইকেট তুলে নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শ্রেয়াস আইয়ার টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেরে ডিপ মিডউইকেটে মাহমুদউর্ল্লাহর ক্যাচ হন। ১৯ রান করেন তিনি। কোহলির সঙ্গে আইয়ারের জুটি ছিল ৪৬ রানের।
হাফ সেঞ্চুরিতে ক্যালিসকে ছাড়ালেন কোহলি
দলীয় ৮৮ রানে রোহিত শর্মা প্যাভিলিয়নে ফেরার পর ক্রিজে নামেন বিরাট কোহলি। দারুণ সব শট খেলে ৬৯তম ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি করলেন ডানহাতি ব্যাটার। ২৭তম ওভারের শেষ বলে হাসান মাহমুদের কাছ থেকে এক রান আদায় করে ফিফটি উদযাপন করেন তিনি। ৪৮ বলে চারটি চার ও একটি ছয়ের মার ছিল তার এই ইনিংসে।
হাফ সেঞ্চুরি করে কোহলি ছাড়িয়ে গেছেন জ্যাক ক্যালিসকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২১২তম পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং গ্রেটকে টপকালেন তিনি।
প্রথম বিশ্বকাপ হাফ সেঞ্চুরির পর মিরাজের শিকার গিল
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে পারেননি শুবমান গিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার খেলতে নেমে হতাশ করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ঝলক দেখালেন। ভারতীয় ব্যাটার করে ফেললেন বিশ্বকাপে তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। তবে আর তিনটি রান যোগ করতে পেরেছেন।
১৯তম ওভারের প্রথম বলে শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে একটি রান আদায় করে পঞ্চাশে পৌঁছান গিল। ৫১ বল লেগেছে তার, ছিল পাঁচ চার ও দুই ছয়ে মার। এরপর আর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। আর চার বল খেলেছেন। পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ তাকে ৫৩ রানে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানান।
রোহিতকে থামালেন হাসান
রোহিত শর্মাকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দেয়নি বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদের বলে দলীয় ৮৮ রানে তাকে থামান হাসান মাহমুদ। ৪৮ রানে তাকে তাওহীদ হৃদয়ের ক্যাচ বানান বাংলাদেশি পেসার। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। পঞ্চম বল শেষ করতে তিনটি ডেলিভারি করতে হয়েছে হাসানকে। টানা দুইবার নো বল দেন। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওই দুই বলে দুই ও চার রান তোলেন কোহলি। পঞ্চম বৈধ বলে মারেন ছক্কা। ওই ওভারে এক উইকেট নিয়ে হাসান দেন ২৩ রান।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশকে হতাশ করলেন রোহিত-গিল
মাত্র ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৬ ওভারে ৩৭ রান করেছে তারা কোনও উইকেট না হারিয়ে। রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল উদ্বোধনী জুটিতে খেলছেন। রোহিত সবচেয়ে চড়াও হয়েছেন শরিফুল ইসলামের ওভারে। এই পেসার তিন ওভারে ২৫ রান দেন।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে গিল হয়ে ওঠে আগ্রাসী। নাসুম আহমেদকে একটি চার ও দুটি ছয় মারেন। প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ কোনও উইকেট নিতে পারেনি, দিয়েছে ৬৩ রান।
ভারতকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ
১৮তম ওভারেই একশ! বাংলাদেশ দারুণ সূচনা পেয়েছিল লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে। ৯৩ রানের জুটি গড়েন তারা।
কুলদীপ যাদবের বলে দুজন বিচ্ছিন্ন হতেই বাংলাদেশ পথ হারায়। যদিও লিটন আরও কিছু সময় হাল ধরে ছিলেন।
শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের ৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে দুইশ পার করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ নিজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরির আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু ইনিংসের চার বল বাকি থাকতে ৪ রানের আক্ষেপে ভাসেন তিনি। ৩৬ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে ৪৬ রান করে যশপ্রীত বুমরার শিকার হন। শেষের আগের দুই বলে সিঙ্গেল নিয়ে দলকে আড়াইশতে পৌঁছান মোস্তাফিজ ও শরিফুল। শেষ বলে ছক্কা মারেন শরিফুল। তাতে ৭ উইকেটে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ।
এর আগে ইনিংস সেরা ৬৬ রান করেন লিটন। ৫১ রান আসে তানজিদের ব্যাটে।
ভারতের পক্ষে বুমরা, সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজা সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন।
সিরাজকে দুটি চার মেরে আউট নাসুম
৪৬তম ওভারে পরপর দুটি চার ও ছয়ে রান বাড়ান মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারে আগ্রাসী নাসুম আহমেদও। মোহাম্মদ সিরাজের প্রথম ও চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মারেন, তারপরই ক্যাচ দেন লোকেশ রাহুলকে। ১৪ রানে থামেন নাসুম। দলীয় ২৩৩ রানে ৭ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দুইশ রান পার হতেই মুশফিকের বিদায়
দলীয় স্কোর দুইশ পার হওয়ার পর ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে মাঠ ছাড়লেন মুশফিকুর রহিম। যশপ্রীত বুমরার বলে রবীন্দ্র জাদেজাকে ক্যাচ দেন তিনি। বাংলাদেশি ব্যাটার ৪৬ বলে করেন ৩৮ রান। ৪৩তম ওভারে ২০১ রানে ৬ উইকেট পড়েছে বাংলাদেশের।
হৃদয়কে ফেরালেন শার্দুল
মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদযের জুটি পঞ্চাশ ছুঁতে পারেনি। ৫৮ বলে ৪২ রান যোগ করেন তারা। হৃদয়কে ১৬ রানে শার্দুল ঠাকুর আউট করেছেন। ৩৫ বলে ১৬ রান করে শুবমান গিলের ক্যাচ হন তিনি।
মুশফিক-হৃদয়ের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশকে বড় স্কোরের আশা দেখাচ্ছিলেন লিটন দাস। তার বিদায়ের পর কিছুটা থমকে গিয়েছিল রানের গতি। মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে পথে ফেরার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। দলীয় ১৩৭ রানে এই দুই ব্যাটার জুটি গড়েন। ৩৭ ওভার শেষে স্কোর ৪ উইকেটে ১৭৮ রান।
লিটনকে থামালেন জাদেজা
তানজিদ তামিম যতটা আগ্রাসী ছিলেন সেই জায়গায় রয়ে সয়ে খেলছিলেন লিটন। দ্রুত তিন উইকেট পড়লেও ফিফটিতে ইনিংসটা আরও এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্বটা কাঁধে নিয়েছিলেন। কিন্তু চাপে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে রান বাড়াতে গিয়ে ক্যাচ তুলে আউট হয়েছেন লিটন। জাদেজাদে উঠিয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়েছেন। তাতে ৮২ বলে ৬৬ রানে থেমেছেন ডানহাতি ওপেনার। লিটনের ইনিংসে ছিল ৭টি চার।
মিরাজের বিদায়ে আরও চাপে বাংলাদেশ
ওপেনিং জুটিতে যে অবস্থানে বাংলাদেশ ছিল দ্রুত সময়ে দুটি উইকেট হারিয়ে সেখান থেকে দূরে সরে যেতে থাকে বাংলাদেশ। নাজমুল শান্ত প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজকে যে কারণে প্রমোশন দেওয়া সেটার ছাপ রাখতে পারেননি তিনিও। ৩ রানে ২৫তম ওভারে সিরাজের বলে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন এই অলরাউন্ডার। অবশ্য এই ক্যাচের জন্য লোকেশ রাহুলকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। উইকেটের পেছনে ডাইভ দিয়ে দেখার মতো একটি ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। তাতে আরও চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
তানজিদের বিদায়ের পর কমে আসে রান তোলার গতি। নতুন নামা শান্ত অবশ্য সেই সময়ে পার্টনারশিপ গড়তে পারেননি। রবীন্দ্র জাদেজার বলে মাত্র ৮ রান করে এলবিডাব্লিউতে ফেরেন তিনি। তাতে দ্রুত সময়ে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ চাপে পড়েছে। তবে অপরপ্রান্ত আগলে রয়েছেন লিটন। ধীরে সুস্থে খেলে ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন ৬২ বলে।
ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির পর আউট তানজিদ
সতর্ক শুরুর পর ওপেনার তানজিদ হাসানের ব্যাটেই ইনিংসে কর্তৃত্ব করছিল বাংলাদেশ। ভারতের বোলাররা কোনও কিছুতেই কিছু করতে পারছিলেন না। তাদের ওপর চড়াও হয়ে খেলছিলেন তিনি। তাতে ওপেনিং জুটিতে স্কোর শতরানের কাছাকাছিও চলে আসে বাংলাদেশের। ভারতের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো ৯৩ রানের জুটি ভেঙেছেন রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তানজিদ ৪৩ বলে ৫১ রানে আউট হয়েছেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়ের মার।
প্রথম তিন ওয়ানডেতে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি তানজিদ। তামিম ইকবালের জায়গায় দলে এলেও বিশ্বকাপে তার ব্যাট হাসছিল না। প্রস্তুতি ম্যাচে যেমন বারুদটা দেখা গেছে, সেটার ঝলক অবশেষে দেখা গেলে ভারতের বিপক্ষে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন বামহাতি। ১৪তম ওভারে তিনি পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৪১ বলে।
তানজিদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৬৩
সর্তক শুরুর পর সপ্তম ওভারে এসে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন তানজিদ তামিম। পরে তার সঙ্গী হন লিটন দাস। তাতে শুরুর ঘাটতিটাও পূরণ হয়ে যায় বাংলাদেশের। নবম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে টানা দুটি চার মেরেছেন লিটন। অবশ্য এই ওভারেই তৃতীয় ডেলিভারির পর পায়ে আঘাত পান হার্দিক। তিনটি বল করতে পারলেও পা মচকে যাওয়ায় ওভার অসম্পূর্ণ রেখে মাঠ ছেড়ে গেছেন। তার বদলে ওভার শেষ করেছেন কোহলি। তার পর ঠাকুরের দশম ওভারে তানজিদ দুটি ছক্কা ও এক চার মারলে পাওয়ার প্লেতেই ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে যুক্ত হয় ৬৩ রান। যা বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে কোনও প্রতিপক্ষের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
সতর্ক শুরুর পর তানজিদ-লিটনের আক্রমণ
বিশ্বকাপে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিং নিলেও শুরুতে অতি সাবধানি ছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। জসপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫ ওভারে তুলতে পেরেছে মাত্র ১০ রান। তার পর ধীরে ধীরে কিছুটা গতি বাড়িয়েছেন তারা। তবে পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে এলবিডাব্লিউ হতে পারতেন তানজিদ। জশপ্রীত বুমরার ইয়র্কার লেংথ ডেলিভারি প্যাডে আঘাত করেছিল তার। ভারতের ফিল্ডাররা রিভিউ না নেওয়ায় বেঁচে যান বাঁহাতি ওপেনার। সে সময় ৭ রানে ব্যাট করছিলেন তানজিদ।
খেলা হচ্ছে না সাকিবের, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচ জিতে উড়ছে ভারত। বাংলাদেশ অবশ্য প্রথম ম্যাচ জিতলেও টানা দুটি ম্যাচ হেরে আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছে। আত্মবিশ্বাস ফেরাতে আজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। কিন্তু টসের মুহূর্তে বড় দুঃসংবাদ দিয়েছে তারা। ইনজুরির পর পুরোপুরি ফিট না থাকায় আজ খেলা হচ্ছে না অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। তবে পুনের ব্যাটিং বান্ধব পিচে টসটা বাংলাদেশ ঠিকই জিতেছে। শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বাংলাদেশের একাদশে দুটি পরিবর্তন
সাকিব না থাকায় তার জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন আরেক বাঁহাতি নাসুম আহমেদ। নেই তাসকিন আহমেদও। তার জায়গায় হাসান মাহমুদকে নেওয়া হয়েছে। ভারত অবশ্য প্রত্যাশিতভাবে একাদশে কোনও পরিবর্তন আনেনি।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, যশপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদব ও মোহাম্মদ সিরাজ।
এক নজরে পরিসংখ্যান
দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান যাই হোক না কেন। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর থেকে দুই দলের লড়াই ক্ল্যাসিক দ্বৈরথে পরিণত হয়েছে। দুই দলের ম্যাচে থাকে লড়াইয়ে ঝাঁজ। অনেক সময় জন্ম দেয় স্নায়ী ক্ষয়ী মুহূর্তেরও। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ একবারই ভারতকে হারাতে পেরেছিল। ২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে প্রথমবারের মতো ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল সাকিব-তামিমরা। এরপর ২০১১, ২০১৫, ২০১৯ তিনটি আসরেই শেষ হাসি ভারতের। এখন পর্যন্ত ৪০ বারের দেখায় ভারতের জয় ৩১ ম্যাচে, বাংলাদেশের আটটি। তবে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ চার ওয়ানডেতে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে সাকিব আল হাসানরা।