মিচেল-রাচিন ঝলকের পর শামির ৫ উইকেট, নিউজিল্যান্ডের ২৭৩ রান

ধর্মশালায় দারুণ শুরু হয়েছিল ভারতের। শেষটাও হলো তাদের বোলারদের দাপটে। মাঝে রাচিন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেলের ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকদের অস্বস্তিতে রেখেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে মোহাম্মদ শামি পাঁচ উইকেট তুলে নেন। নিউজিল্যান্ড বড় স্কোরের আভাস দিলেও গুটিয়ে যায় ২৭৩ রানে।

বিশ্বকাপের অপরাজিত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে রবিবার। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ রানে দুই ওপেনার ডেভিড কনওয়ে ও উইল ইয়াং প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

এই ধাক্কা  নিউজিল্যান্ড সামলে নেন রাচিন ও মিচেলের দেড়শ ছাড়ানো জুটিতে। ৫৬ বলে রাচিন এবং ৬০ বলে মিচেল হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করেন।

তৃতীয় উইকেটে দুজনে ১৫০ রান যোগ করেন ১৪৮ বল খেলে। এরপর আর বেশি দূর গড়ায়নি তাদের জুটি। রাচিনের বিদায়ে থামে ১৫৯ রানের দারুণ জুটি। ৮৭ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৭৫ রানে শামির শিকার হন ১১তম ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে জীবন পাওয়া এই ব্যাটার।

এরপর একাই লড়ে গেছেন মিচেল, উপযুক্ত সঙ্গ পাননি কারও কাছ থেকে। ১০০ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে সেঞ্চুরি করেন এই ব্যাটার। গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি ভেঙে যাওয়ার পর ধসের মুখোমুখি হয় কিউইরা। চার উইকেটে ২৪৩ রান করা নিউজিল্যান্ড আর ৩০ রান করতেই বাকি সব ব্যাটারদের হারায়।

৪৮তম ওভারে পরপর দুই উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ শামি। মিচেল স্যান্টনার ও ম্যাট হেনরিকে বোল্ড করেন ভারতীয় পেসার। নিজের শেষ ওভারে ফের শামির পরপর দুই বলে উইকেটের পতন ঘটে। ৩৩তম ওভারে যশপ্রীত বুমরার হাত ফসকে জীবন পাওয়া মিচেলকে ১৩০ রানে বিরাট কোহলির ক্যাচ বানান তিনি। ৯ চার ও ৫ ছয়ে সাজানো ছিল নিউজিল্যান্ড ব্যাটারের ১২৭ বলের ইনিংস। তাকে ফিরিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন শামি। শেষ বলে লকি ফার্গুসন রান আউট হলে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।