এবারের বিপিএলের শুরু থেকেই সমালোচনায় বিদ্ধ ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। নিজেদের মাঠে, খুব বেশি তারকা ক্রিকেটারও নেই। তারপরও জাতীয় দলের ব্যাটারদের ব্যাটে রান খরা। ফলে এসব নিয়ে সমালোচিত হচ্ছিলেন লিটন দাস-নাজমুল হোসেন শান্ত-তাওহীদ হৃদয়রা। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটার হৃদয় অনবদ্য এক সেঞ্চুরিতে যেন সব কিছুরই জবাব দিয়ে দিলেন! দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে এবারের বিপিএলের প্রথম শতক হাঁকিয়ে একাই দলকে জিতিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও তাওহীদ হৃদয়ের প্রথম সেঞ্চুরি এটি। এর আগে তার সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ৮৫। সেটি গত আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে করেছিলেন। ৮ চার ও ৭ ছক্কায় ৫৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন হৃদয়। মাঠের চারদিকে চোখ ধাঁধানো সব শট খেলেছেন। তুলে নিয়েছেন বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ৬ষ্ঠ শতক।
কখনও কাট শটে, কখনও স্লগ সুইপে, কখনও পুল করে, কখনও ফ্লিকে তাসকিন-শরিফুলদের পাড়ার বোলার বানিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তার ছক্কা দেখে মনে হচ্ছিল, চাইলে অনায়াসেই এটি মারা যায়। স্বাভাবিকভাবেই সংবাদ সম্মেলনে এতো ছয়ের রহস্য জানতে চাওয়া হয়। সাবলীলভাবেই হৃদয় জানিয়েছেন ছক্কা মারার রহস্য, ‘আমি মনে করি ছয় মারা কঠিন কিছু না। প্রত্যেকটা খেলোয়াড় ছয় মারতে পারে। যদি আত্মবিশ্বাস থাকে, আমার মনে হয় যেকোনও সময় যেকোনও মাঠে ছয় হবে।’
হৃদয় আরও যোগ করে বলেছেন, ‘আমরা এরকম পরিস্থিতিতে কম অভ্যস্ত। আমরা যখন আস্তে আস্তে খেলতে থাকবো, আরও যখন ম্যাচে এরকম ছয় মারবো, প্রত্যেকটা ব্যাটার যখন মারবে, তখন আত্মবিশ্বাসটা আসবে যে আমি মারলে ছয় হবে।’
মায়ের কারণেই ক্রিকেটার হয়ে উঠেছেন তাওহীদ হৃদয়। আর তাই তো টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটা মাকেই উৎসর্গ করেছেন।