নিজের ব্যাটিংয়ে খুশি নন ম্যাচসেরা শান্ত

নাজমুল হোসেন শান্ত অধিনায়কোচিত এক ইনিংস খেললেন। মাঝপথে বাংলাদেশ পথ হারানোর শঙ্কায় পড়লেও জাকের আলী ও নাসুম আহমেদ হাল ধরেন। ডেথ ওভারে তাদের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। আড়াইশ ছাড়ানো স্কোর করার পর আফগানিস্তানকে দুইশও করতে দেয়নি তারা। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও অসামান্য অবদান রাখে নাসুম। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬৮ রানে জয়ের পর এই দুজনকে প্রশংসায় ভাসালেন শান্ত, একই সঙ্গে আক্ষেপ করলেন ইনিংস আরও বড় করতে না পারায়।

সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে পঞ্চাশ ছাড়ানো দুটি জুটি গড়েন শান্ত। আগের ম্যাচে ৪৭ রানে আউট হওয়ার দুঃখ এদিন ঘুচালেন তিনি। ৭৫ বলে নবম হাফ সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক। তবে পুরোপুরি তৃপ্ত নন শান্ত, ‘সত্যি কথা বলতে আমি খুশি নই। আমাকে আরও কিছু সময় ব্যাটিং করতে হতো। উইকেট ছিল কঠিন, বিশেষ করে স্পিনারদের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমি যেভাবে শুরু করেছিলাম, তাতে খুশি।’

দুই প্রান্ত থেকে মিরাজ ও নাসুম হাত ঘুরিয়ে আফগানিস্তানকে চেপে ধরেন। দুজনে মিলে আফগানদের পাঁচ উইকেট তুলে নেন। সর্বোচ্চ তিনটি পান নাসুম। এই দুই স্পিনারকে নিয়ে শান্ত বললেন, ‘মিরাজ ও নাসুম দারুণ বোলিং করেছে, তাদের কৃতিত্ব দিতে হয়।’

চতুর্থ ওভারে ওপেনিং জুটিতে তাসকিন আহমেদের আঘাতের কথাও তুলে ধরলেন অধিনায়ক, ‘যেভাবে আমরা শুরু করলাম, তাসকিন আবারও গুরবাজকে আউট করলো, সে কিন্তু আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার।’

প্রশংসা করলেন ফিল্ডারদেরও, ‘ফিল্ডিং দলের কাছে আমি অনেক প্রাণশক্তি চাই, সেটাই তারা আজ দেখিয়েছে। আমি খুশি।’

১৮৪ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর জাকের ও নাসুমের ৪১ বলে ৪৬ রানের জুটি বাংলাদেশকে পথে ফেরায়। নাসুম ২৫ রান করেন, অভিষিক্ত জাকের অপরাজিত ছিল ৩৭ রানে। শেষ পাঁচ ওভারে ৫২ রান তোলে বাংলাদেশ। দুজনের ব্যাটিং প্রসঙ্গে শান্ত বললন, ‘যেভাবে তারা (জাকের ও নাসুম) শেষ করেছে, তাতেই আমরা মোমেন্টাম পেয়ে গিয়েছিলাম। জাকের এবং লোয়ার ও মিডল অর্ডারের কাছে আমি এমনটাই চাই। আশা করি তারা এভাবে ব্যাটিং চালিয়ে যাবে।’

২৩তম ওভারে রহমত শাহের একটি শট ঠেকাতে গিয়ে ঊরুতে ব্যথা পান শান্ত। পরের ওভারে মিরাজকে ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। চোটের অবস্থা সম্পর্কে তার কথা, ‘কিছুটা ভালো, তবে এখনও একটু অস্বস্তি আছে। পরের ম্যাচ পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতে হবে।’