১৯৯৯ সাল থেকে আইসিসির বিভিন্ন বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দল নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছে। ২৫ বছর ধরে নিয়মিত অংশগ্রহণ করা দলটি শিরোপার স্বাদ পাওয়াতো দূরের কথা, কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারেনি। পাকিস্তান ও আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত আরও একটি আইসিসি ইভেন্টে ব্যর্থতার গ্লানি সঙ্গী করে দেশে ফিরেছে নাজমুল হোসনে শান্তরা।
অথচ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেও বৃষ্টির কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে। তাতে কোনও ম্যাচ না জেতার দুঃসহ স্মৃতি নিয়েই পাকিস্তান থেকে দুবাই হয়ে মধ্যরাতে ঢাকায় পৌঁছেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা। প্রত্যেকে নিজ নিজ গাড়িতে করে বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন।
সচরাচর বিদেশের মাটিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বা আইসিসি ইভেন্ট খেলে বিমানবন্দরে দলের প্রতিনিধি হয়ে কেউ না কেউ গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। গত রাতে দলের কেউই কথা বলেননি। নিজেদের মতো করে প্রত্যেকে বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে গেছেন। ক্রিকেটাররা দেশে ফিরলেও বিদেশি কোনও কোচিং স্টাফ ফেরেননি।
দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৫৯৮ বল খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৩৪০ বলই ছিল ডট। বলা যায়, পুরো এক ম্যাচের বেশি বলে তারা কোনো রান আদায় করতে পারেনি। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ দল। দেশে ফিরে মিরাজ-শান্তরা এবার যোগ দেবেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল)।
এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোন ম্যাচ জিততে না পারলেও আর্থিক ভাবে বেশ ভালো ভাবেই লাভবান হচ্ছেন টাইগাররা! বাংলাদেশ আছে সপ্তম স্থানে। ইংল্যান্ড হেরে গেলে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠ হবে। অর্থাৎ, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ দলের কোষাগারে প্রায় ৩ কোটি টাকা চলে এসেছে। শনিবার যদি ইংল্যান্ড প্রোটিয়াদের কাছে হেরে যায় নেটরান রেটের কারণে তারা নেমে যাবে সাত নম্বরে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ উঠে আসবে ছয় নম্বরে। তখন প্রাইজমানি হিসেবে বাংলাদেশ পাবে ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের চেয়ে প্রায় তিন কোটি টাকা বেশি।