পিএসএলের বিদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে মন্তব্যের পর ক্ষমা চাইলেন রিশাদ 

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে পিএসএল স্থগিত হওয়ার পর দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। দুবাই বিমানবন্দরে নামার পর রিশাদ বিদেশি ক্রিকেটারদের সার্বিক অবস্থা নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন। কোনও রাখঢাক ছিল না তাতে। সেই মন্তব্য ক্রিকেট মহলে বেশ বিতর্কের জন্ম দেওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

গত রাতে দেওয়া পোস্টে রিশাদ দীর্ঘ ইংরেজী বক্তব্যে গতকাল লিখেছেন, ‘এটা অবগত যে আমার সাম্প্রতিক মন্তব্য বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে এবং দুর্ভাগ্যবশত সংবাদমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা ভুল ধারণার জন্ম দিচ্ছে। দুবাই বিমানবন্দরে ট্রানজিটের সময় বাংলাদেশি সাংবাদিকদের কাছে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মন্তব্যটি করেছিলাম। কিন্তু সেখানে পরিপূর্ণ প্রেক্ষাপট ছিল না, সম্পৃক্ত আবেগকেও অনিচ্ছাকৃতভাবে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে।’

তার পরেই দুঃখপ্রকাশ করে রিশাদ লিখেছেন, ‘যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ড্যারিল মিচেল ও টম কারানের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি। সতীর্থদের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে, পাশাপাশি কালান্দার্সের ভ্রাতৃত্ববকেও যথেষ্ট মূল্য দেই। যেখানে আমরা একে অন্যের পাশাপাশি যে কোনও পরিস্থিতিতে পাশে থাকি। আবার পাকিস্তান সুপার লিগ শুরু হলে আমি আমার দলে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।’

রিশাদ পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে ম্যাচ খেলেছেন। পেশাওয়ার জালমির হয়ে খেলতে পাকিস্তানে গেলেও মাঠে নামা হয়নি নাহিদের। দুবাইতে ফেরার সময় দুজনে একই ফ্লাইটে ছিলেন। অন্য বিদেশি ক্রিকেটারদের আতঙ্কের কথা উল্লেখ করতে গিয়েই তখন মন্তব্যগুলো করেছিলেন রিশাদ, ‘আসলে বিদেশি যারা ছিল স্যাম বিলিংস, ড্যারিল মিচেল, কুশল পেরেরা, ডেভিড ভিসা এবং টম কারান। আমার মনে হয় ওরা এত আতঙ্কে ছিল যে এখনই যেতে পারলে বাঁচে আরকি। দুবাইয়ে নামার পরে ড্যারিল মিচেল বলেছে, ‘আমি জীবনে আর পাকিস্তানে আসবো না, এই পরিস্থিতিতে তো কখনোই না।’ অনেক আতঙ্কে ছিল ওরা।’’

তার পর টম কারানকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘কারান তো বিমানবন্দরে চলে গিয়েছিল। পরে জানতে পারে বিমানবন্দর বন্ধ। তার পর সে বাচ্চাদের মতো কাঁদছিল। তখন তাকে সামলাতে দুই-তিনজন লোকের প্রয়োজন পড়েছিল।’