তিন বছর আগে সর্বশেষ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালে দুবাইয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ অবশ্য টাইগাররা ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল। এবার পাকিস্তানে যাওয়ার আগে আমিরাতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলতে নামছে লিটন দাসের দল। এই সিরিজ দিয়েই নতুন অধিনায়ক লিটন দাসের যাত্রা শুরু। মূল লক্ষ্য আগামী বছরের বিশ্বকাপ।
আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে আয়োজন করবে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ। এর আগে অন্তত ১৯টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ হলে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। সেটিরই শুরুই হচ্ছে আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে। আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় ৯টায় ম্যাচটি শুরু হবে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে নাগরিক টেলিভিশন।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৯ নম্বরে। ৬ ধাপ পিছিয়ে ১৫ নম্বরে অবস্থান সংযুক্ত আরব আমিরাতের। স্বাভাবিকভাবেই এমন দলের বিপক্ষে লিটন দাসদের না জেতার কোন কারণ নেই। লিটন তাই বলেছেন , ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য—দুটি ম্যাচই জিততে চাই।’
গত বছর ক্যারিবীয় সফরে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করেছিল। শান্তর ইনজুরিতে ওই সিরিজের নেতৃত্বে ছিলেন লিটন। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি নেতৃত্ব পেয়েছেন। নতুন বছরের টি-টোয়েন্টি অভিযানও শুরু হচ্ছে আরব আমিরাতের বিপক্ষে লিটনের নেতৃত্বে। নতুন অধিনায়ক লিটন নেতৃত্বের জন্য প্রশংসিত হলেও ব্যাট হাতে এখনও নিজেকে ফিরে পাননি। তবে আত্মবিশ্বাসে তার কমতি নেই। ঢাকা ছাড়ার আগে বলেছিলেন, ‘অধিনায়কত্বে আমার কোনও রোল মডেল নেই। অধিনায়কত্ব ছাড়াও খারাপ খেলেছি, আবার অধিনায়ক হয়ে ভালো খেলতেও পারি।’
আরব আমিরাতের কন্ডিশনে তিন পেসার নিয়ে খেলার জোরালো সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে নাহিদ রানা, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজকে দেখা যেতে পারে একাদশে। তবে জটিল পরিস্থিতিতে পড়তে হবে ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে; স্কোয়াডে টপ অর্ডার ব্যাটারদের আধিক্য বেশি। ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারকে দেখা যেতে পারে। শান্তর সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি ফর্ম ও স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও একাদশে জায়গা পেলে বাদ পড়তে হতে পারে পারভেজ হোসেনকে। এছাড়া থাকছেন অধিনায়ক লিটন। মিডল অর্ডারে তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও জাকের আলী থাকছেন, ইনিংসের শেষ দিকে দায়িত্বে থাকবেন রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান। তবে মিডল অর্ডারে জাকের আলীকে খেলালে শেখ মেহেদীকে হয়তো খেলাতে পারবে না বাংলাদেশ। অথবা এক পেসার কমিয়ে বাড়তি একজন স্পিনার খেলানো হতে পারে। সবমিলিয়ে অলরাউন্ডার না থাকায় জটিল পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে টিম ম্যানেজমন্টেকে।