পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনালে লাহোর কালান্দার্সের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালালেন হাসান নওয়াজ। ডেথ ওভারে হারিস রউফ ও শাহীন শাহ আফ্রিদি জোড়া আঘাতে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের লাগাম টেনে ধরার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু শেষ ওভারে ঝড় তোলেন ফাহিম আশরাফ। তাতে হঠাৎ করে ছন্দ হারালেও কোয়েটা করেছে ৯ উইকেটে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ।
২১ রানের মধ্যে সৌদ শাকিল (৪) ও ফিন অ্যালেনকে (১২) ফেরান শাহীন আফ্রিদি ও সালমান মির্জা। দারুণ শুরুর পরও বুক চিতিয়ে ব্যাটিং করে কোয়েটা। তাতে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৫৭ রান তোলে তারা। এতে রাইলি রোসো ১১ বলে ২২ রানে অবদান রাখেন।
সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সিকান্দার রাজা থামান রোসোকে। নওয়াজ ক্রিজে নেমে আভিষ্কা ফার্নান্ডোকে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। দুজনের জুটি ছিল ৬৭ রানের। শ্রীলঙ্কান ব্যাটার ২২ বলে ২৯ রান করে রিশাদ হোসেনের শিকার হন।
একপ্রান্ত আগলে রেখে নওয়াজ হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন। দিনেশ চান্ডিমালের সঙ্গে তার ৪৬ রানের জুটি ভাঙে ১৮তম ওভারে। শাহীন একই ওভারে নওয়াজকে ৭৬ রানে থামান। ৪৩ বলে ৮ চার ও ৪ ছয়ে এই রান করেন তিনি।
পরের ওভারে মোহাম্মদ আমির ও আবরার আহমেদকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন হারিস রউফ।
দুই ওভারে জোড়া আঘাতের ধাক্কা লাগতে দেননি ফাহিম। ১৯তম ওভারের শেষ বলে চার মেরে শুরু। পরের ওভারে প্রথম পাঁচ বলে তিন ছয় ও চার মারেন তিনি। শেষ বলে সালমানের শিকার ফাহিম, ৮ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ২৮ রান করেন তিনি।
টসের ১০ মিনিট আগে ইংল্যান্ড থেকে পাকিস্তানে নেমে ফাইনালে অংশ নেওয়া সিকান্দার ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। রিশাদ তার চেয়ে একটি কম রান দিয়ে সমান সংখ্যক উইকেট পান। সালমান চার ওভারে দুটি উইকেট নেন ৫১ রানের বিনিময়ে। শাহীন সবচেয়ে বেশি তিন উইকেট পান।