চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় তাসকিন-মোস্তাফিজ-শরিফুল

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। তারপর দুই দল খেলবে ওয়ানডে সিরিজ। এর আগে বাংলাদেশ ক্যাম্পে স্বস্তি। চোটে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম মাঠে ফিরছেন ধীরে ধীরে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের সঙ্গে অনুশীলনের সময় পূর্ণ গতিতে বোলিং করতে দেখা গেছে এই পেসত্রয়ীকে। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন সাদা বলের সিরিজে তাদের অন্তর্ভুক্তি এখনো নিশ্চিত নয়। অনেক যদি কিন্তুর ওপর নির্ভর করছে তাদের অন্তর্ভুক্তি।

বিসিবির মেডিকেল বিভাগের এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা এই তিন পেসারকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দুটি ম্যাচের উপর নির্ভর করে। চট্টগ্রামে নিজেদের মধ্যে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৩ ও ২৫ জুনের ম্যাচের পর তিন পেসারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। 

এ ব্যাপারে বিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘তারা পূর্ণ গতিতে বল করেছে, যা ভালো লক্ষণ। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে যে, তারা সবাই ইনজুরি থেকে ফিরছে। ম্যাচ খেলার মতো ফিট কি না, তা ইনট্রা-স্কোয়াড ম্যাচের পরই বলা যাবে। এখন পর্যন্ত তারা বোলিংয়ের পর কোনও অভিযোগ করেনি, এটা ইতিবাচক।’

মোস্তাফিজ আইপিএল খেলতে গিয়ে আঙুলে চোট পান। এই চোটের কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা হয়নি তার। অন্যদিকে শরিফুল পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি থেকে ছিটকে যান মাংসপেশির চোটে। এমআরআই পরীক্ষায় ধরা পড়ে ডান পায়ের রেক্টাস ফেমোরিস মাংসপেশিতে গ্রেড-১ স্ট্রেইন। এছাড়া তাসকিন অনেকদিন ধরেই গোড়ালির ইনজুরিতে ভুগছিলেন। বিদেশে গিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে এসেছেন। ওই চিকিৎসক গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার না করে ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট করে খেলার পরামর্শ দেন। সবমিলিয়ে তিনিও মাঠে ফেরার অপেক্ষায় আছেন।

আগামী ২৫ জুন কলম্বোতে শুরু হবে সিরিজের শেষ টেস্ট। এরপর  বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে, যা অনুষ্ঠিত হবে ২, ৫ ও ৮ জুলাই। প্রথম দুটি ম্যাচ হবে কলম্বোয় এবং তৃতীয়টি পাল্লেকেলেতে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে  আগামী ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই বাংলাদেশ খেলতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ম্যাচগুলো যথাক্রমে  অনুষ্ঠিত হবে পাল্লেকেলে, ডাম্বুলা ও কলম্বোয়।