সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা ৪৮.৫ ওভারে ২৩২/১০ (আসিথা ৩*; নিসাঙ্কা ৫, মাদুশকা ১৭, কুশল ৫৬, আসালাঙ্কা ৬, কামিন্দু ৩৩, ভেল্লালাগে ১, হাসারাঙ্গা ১৩, থিকশানা ২, লিয়ানাগে ৭৮, চামিরা ১৩)
ফল: বাংলাদেশ ১৬ রানে জয়ী।
বাংলাদেশ ৪৫.৫ ওভারে ২৪৮/১০ (তানজিম ৩৩*; তানজিদ ৭, শান্ত ১৪, ইমন ৬৭, মিরাজ ৯, শামীম ২২, জাকের ২৪, হৃদয় ৫১, হাসান ০, তানভীর ৪, মোস্তাফিজ ০)
শেষ দিকে ম্যাচটা জমিয়ে দিয়েছিলেন জেনিথ লিয়ানাগে। ১৭০ রানে অষ্টম উইকেট পতনের পরও বাংলাদেশের প্রায় হাতের মুঠোয় নেওয়া ম্যাচটা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। নবম উইকেটে চামিরাকে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ রানের জুটিতে সম্ভাবনা শেষ দিকেও বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। ১৮ বলে সমীকরণ নামিয়ে আনেন ২৭ রানে। পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলে ছক্কা মেরে ম্যাচটা আরও কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৪৭.২ ওভারে বিপজ্জনক লঙ্কান ব্যাটারকে কাটার মাস্টার ৭৮ রানে থামালে অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বাংলাদেশ। তার পর দুশমন্থ চামিরাকে (১৩) তানজিম সাকিব বোল্ড করলে ২৩২ রানে অলআউট হয়েছে লঙ্কান দল। বাংলাদেশ পেয়েছে ১৬ রানের জয়। তাতে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে সফরকারীরা।
জয়ের নায়ক মূলত বামহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। শুরুর দিকে ঝড়ো ব্যাট করতে থাকা কুশল মেন্ডিসকে ৫৬ রানে থামিয়েই লঙ্কানদের ছন্দপতন ঘটান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ রানে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরাও তিনি। শামীমের অবদানও কম নয়। কৃপণ বোলিংয়ে ৯ ওভারে ১ মেডেনে ২২ রান দিয়েছেন। নিয়েছেন একটি উইকেট। ৩৪ রানে দুটি নিয়েছেন তানজিম সাকিব। একটি করে নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও শামীম হোসেন।
লিয়ানাগেকে থামালেন মোস্তাফিজ
শেষ দিকে একাই লঙ্কানদের জয়ের পথে টেনে নিচ্ছিলেন জেনিথ লিয়ানাগে। ম্যাচটা জমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও ৪৭.২ ওভারে বিপজ্জনক ব্যাটারকে ৭৮ রানে থামিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। অথচ আগের বলেই ছক্কা মেরে ভিন্ন কিছুর জানান দিচ্ছিলেন তিনি। লিয়ানাগের ৮৫ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছয়।
লিয়ানাগের ফিফটিতে লড়াই করছে শ্রীলঙ্কা
শেষ দিকে এসে এখনও হাল ধরে লড়াই করে যাচ্ছেন লিয়ানাগে। ফিফটিও তুলে নিয়েছেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করেই সমীকরণ আরও কাছে নিয়ে আসে লঙ্কান দল। অবশ্য প্রান্ত আগলে থাকা এই ব্যাটারকে ৪২ রানে জীবনও দিয়েছে বাংলাদেশ।
থিকশানাকে ফিরিয়ে তানভীরের ‘প্রথম পাঁচ’
শুরু থেকে লঙ্কানদের চেপে ধরতে ভূমিকা ছিল স্পিনার তানভীর ইসলামের। শেষ দিকে থিকশানাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে গেছেন তিনি। থিকশানাকে সহজ ক্যাচে পরিণত করেছেন তানভীর। বিদায় দিয়েছেন ২ রানে। তাতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন বামহাতি স্পিনার।
হাসারাঙ্গাকে ফেরালেন মিরাজ
চাপে পড়া লঙ্কানদের শিবিরে আশার সঞ্চার করছিলেন লিয়ানাগে ও হাসারাঙ্গা। ২৪ রান যোগ করেন তারা। ৩৫.২ ওভারে হাসারাঙ্গাকে ক্যাচ আউট করে তাদের প্রতিরোধ ভেঙেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিডউইকেটে মেরে খেলতে গিয়ে ১৩ রানে তানজিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন হাসারাঙ্গা। এটা ছিল মিরাজের প্রথম উইকেট।
তানভীরের চতুর্থ শিকার ভেল্লালাগে, বিপদে শ্রীলঙ্কা
দেখতে দেখতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতের মুঠোয় নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। জেনিথ লিয়ানাগের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন দুনিথ ভেল্লালাগে। ২৯.৪ ওভারে ভেল্লালাগেকে (১) নিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত করেছেন তানভীর ইসলাম। তাতে ১২৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে আরও বিপদে স্বাগতিক দল।
কামিন্দুকে বিদায় দিলেন তানভীর
চতুর্থ উইকেট পতনের পর জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন জেনিথ লিয়ানাগে ও কামিন্দু মেন্ডিস। ২৫তম ওভারে সেই জুটি ভাঙার সুযোগ এনে দিয়েছিলেন শামীম হোসেন। কামিন্দুর ক্যাচ উইকেটের পেছনে গেলেও সেটা নিতে পারেননি জাকের। তবে পরের ওভারে তানভীর ইসলাম ঠিকই তুলে নেন কামিন্দুর উইকেট। তানভীরের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন লঙ্কান ব্যাটার। কামিন্দু ৫১ বলে ৩৩ রানে বিদায় নিয়েছেন। তাতে ১২৬ রানে পঞ্চম উইকেটের পতনে আরও চাপে পড়েছে শ্রীলঙ্কা।
আসালাঙ্কাকে বিদায় দিয়ে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ
ভয়ঙ্কর কুশল মেন্ডিসকে বিদায় দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরার চেষ্টায় ছিল বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছে তারা। ১৮.৪ ওভারে প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকে বিদায় দিয়ে দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন শামীম হোসেন। ১৭ বলে ৬ রান করা লঙ্কান অধিনায়ককে তানভীরের তালুবন্দি করান শামীম। তাতে শ্রীলঙ্কা ৯৯ রানে হারিয়েছে চতুর্থ উইকেট।
ভয়ঙ্কর কুশলকে ফেরালেন তানভীর
৬ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ড ছুটতে থাকে কুশল মেন্ডিসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। মাদুশকাকে নিয়ে যোগ করেছেন ৬৯ রান। তানভীর ইসলামের বলে মাদুশকা আউট হলেও মূলত কুশল মেন্ডিসই বাংলাদেশ শিবিরে ভয় ছড়াচ্ছিলেন। ২০ বলে তুলে নেন ফিফটি। ১১.৫ ওভারে সেই ভয়ঙ্কর কুশলও তানভীরের শিকার হয়েছেন। লঙ্কান ব্যাটারকে এলবিডাব্লিউতে ফিরিয়েছেন তানভীর। অবশ্য শুরুতে আম্পায়ার বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেননি। রিভিউ নেওয়াতে মেলে সাফল্য। কুশল ৩১ বলে ৫৬ রানে আউট হয়েছেন। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ১টি ছয়ের মার।
কুশলের ২০ বলে ফিফটির পর আউট মাদুশকা
৬ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর কুশল মেন্ডিস ও নিশান মাদুশকার ব্যাটে এগিয়ে চলছিল শ্রীলঙ্কা। মূলত কুশলের ঝড়ো ব্যাটিংই স্কোরবোর্ডের রান উঠতে থাকে দ্রুত। ২০ বলে ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি। এই জুটিতেই অষ্টম ওভারে লঙ্কানদের স্কোর ছাড়ায় পঞ্চাশ। ৯.৩ ওভারে ৬৯ (৪৫ বল) রানের ঝড়ো জুটিটি ভাঙে মাদুশকার বিদায়ে। তাকে ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে হৃদয়ের তালুবন্দি করান তানভীর ইসলাম। মাদুশকা আউট হন ১৭ রানে। তার ২৫ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার। পাওয়ার প্লেতে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৫ রান।
দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য এনে দিলেন তানজিম
দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পেয়ে যান পেসার তানজিম সাকিব। ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কাকে এলবিডাব্লিউর শিকার করেন তিনি। তাতে ৬ রানে পড়ে শ্রীলঙ্কার প্রথম উইকেট। নিসাঙ্কা ফিরেছেন ৫ রানে।
২৪৮ রানে শেষ বাংলাদেশের ইনিংস
সিরিজ বাঁচাতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ২৪৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। কলম্বোয় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে শুরুটা খারাপ ছিল না। মাত্র ১০ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ইনিংস সামাল দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও পারভেজ হোসেন ইমন। জুটি গড়ে ৬৩ রান যোগ করেন তারা। শান্ত ১৯ বলে ১৪ রানে ফিরলে ভাঙে জুটি। তার পর ইমনের হাফসেঞ্চুরিতে অগ্রসর হতে থাকে সফরকারীদের ইনিংস। ইমন ৬৭ রানে ফিরলে দ্রুত সময়ে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। বিদায় নেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেনও। তার পর শেষ ভরসা হিসেবে ছিলেন জাকের আলী ও তাওহীদ হৃদয়। জাকের আলীর বিদায়ে ৪৫ রানের সম্ভাবনাময় জুটি ভাঙতেই শুরু হয় আবার উইকেটের মিছিল। ফিফটির পর দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে ফেরেন হৃদয়ও। তানভীরের আউটে ২১৮ রানে পতন হয় নবম উইকেটের। তাতে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিলেও শেষটা টেনে নিয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ২১ বলে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ব্যাটিংয়েই মূলত ইনিংসটা ২৪৮ রান পর্যন্ত গেছে। তিনি ২ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকলেও মোস্তাফিজের বিদায়ে ৪৫.৫ ওভারেই ২৪৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
লঙ্কানদের হয়ে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্ডো। ৬০ রানে তিনটি নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। একটি করে নিয়েছেন দুশমন্থ চামিরা ও চারিথ আসালাঙ্কা।
তানভীরের আউটে নেই নবম উইকেট
শেষ দিকে রান বাড়িয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু তানভীর ইসলাম নেমে একটি বাউন্ডারি ছাড়া তেমন কিছুই করতে পারলেন না। হাসারাঙ্গার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ৪ রানে সাজঘরে ফিরেছেন।
হৃদয়ের রানআউটের পর একই ওভারে আউট হাসান
হৃদয় আউট হতেই শেষের প্রতিরোধ দুর্বল হয়ে পড়ে বাংলাদেশের। একই ওভারে হাসান মাহমুদও ক্যাচ তুলে ফিরেছেন। তাতে ২১৩ রানে পতন হয়েছে অষ্টম উইকেটের।
ফিফটির পর রানআউটে ফিরলেন হৃদয়
জাকের আলীর বিদায়ের পর ভাঙে ষষ্ঠ উইকেটের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। তার পর অষ্টম ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন হৃদয়। দলের শেষ ভরসা হয়ে ব্যাট করছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে ৫১ রানে কাটা পড়েন তিনি। হৃদয় আউট হন দলের ২১২ রানে।
জাকের আলীর বিদায়ে ভাঙলো গুরুত্বপূর্ণ জুটি
১৫৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তখন শেষ ভরসা ছিলেন জাকের আলী ও তাওহীদ হৃদয়। দারুণ জুটিতে স্কোর দুইশ পার করেন তারা। শেষ দিকে সম্ভাবনা জাগালেও ৩৯তম ওভারে ৪৫ রানের জুটি ভাঙে জাকের আলীর বিদায়ে। আসিথার বলে লেগ বিফোর হয়ে ২৪ রানে ফেরেন তিনি। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।
পুল শটে প্যাভিলিয়নে শামীম
আসিথা ফার্নান্ডোর বলে সম্ভাবনাময় ইনিংসের সমাপ্তি হলো। ২৯তম ওভারে পুল শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারি পার করতে পারেননি শামীম হোসেন। ফাইন লেগে জানিথ লিয়ানাগের ক্যাচ হন বাংলাদেশি ব্যাটার। ২৩ বলে ২২ রান করেন তিনি। ১৫৯ রানে ৫ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
শামীমের বাউন্ডারিতে বাংলাদেশের দেড়শ
২৮তম ওভারের তৃতীয় বলে কামিন্দু মেন্ডিসকে চার মেরে বাংলাদেশকে দেড়শ পার করালেন শামীম হোসেন।
মিরাজ আবার ব্যর্থ
অধিনায়ক হিসেবে দলগত ব্যর্থতার সঙ্গে নিজেও ব্যর্থ মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ৯ রান করেছেন তিনি। তার ১০ বলের ইনিংসে ছিল ১ চার। দুষ্মন্ত চামিরার বলে পাথুম নিসাঙ্কার ক্যাচ হন তিনি। ২২.৪ ওভারে ১২৬ রানে ৪ উইকেট পড়েছে তাদের।
৬৭ রানে আউট ইমন
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার গুগলিতে বোল্ড হলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ১৯.৪ ওভারে দলীয় ১১০ রানে তিনি থামলেন। এই ওপেনার করেছেন ৬৭ রান। তার ৬৯ বলের ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ৩ ছয়।
ইমনের হাফ সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সেঞ্চুরি
হাফ সেঞ্চুরি করলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৪৬ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে প্রথম ফিফটি করলেন তিনি। ১৩.২ ওভারে চারিথ আসালাঙ্কাকে চার মেরে ওয়ানডেতে প্রথমবার পঞ্চাশ ছুঁলেন ইমন।
১৬তম ওভারের শেষ বলে বাংলাদেশের স্কোর একশ হয়েছে।
সহজ ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নে শান্ত
দারুণ এক জুটিতে পারভেজ হোসেন ইমনকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু নিজের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। চারিথ আসালাঙ্কার বলে ১১.৩ ওভারে লং অনে মাহিশ থিকশানার সহজ ক্যাচ হন তিনি। ৬৩ রানের জুটি ভাঙে। ১৯ বলে ১৪ রান করেন শান্ত। বাংলাদেশ ৭৩ রানে দুই উইকেট হারালো।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৬৫ রান
পারভেজ হোসেন ইমন ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটি থিতু হয়ে গিয়েছে ক্রিজে। ১০ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর দুজনে মিলে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। ইতোমধ্যে তাদের জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৬৫ রান করেছে বাংলাদেশ। ৩৭ রানে ইমন ও ১২ রানে শান্ত অপরাজিত আছেন।
ইমন-শান্তর ব্যাটে বাংলাদেশের স্বস্তি
মাত্র ১০ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশ সতর্ক ব্যাটিং করছে। ক্রিজে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও পারভেজ হোসেন ইমন। ২.৪ ওভারে তারা জুটি গড়েন।
৭ রানে তানজিদের বিদায়
তৃতীয় ওভারেই ভাঙলো বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। ২.৩ ওভারে ১০ রানে পড়লো প্রথম উইকেট। আসিথা ফার্নান্ডোর বলে কুশল মেন্ডিসের ক্যাচ হন তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ১১ বলে ৭ রান করেছেন এই ওপেনার।
তানজিদ-ইমনের সতর্ক ব্যাটিং
দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রথম দুই ওভারে ১০ রান বাংলাদেশের।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, লিটন-তাসকিন বাদ
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে জিতেছে বাংলাদেশ। তারা আগে ব্যাটিং নিয়েছে। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। সিরিজ বাঁচাতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। লিটন দাস ও তাসকিন আহমেদ বাদ পড়েছেন। জায়গা পেয়েছেন হাসান মাহমুদ ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। কিপিং করবেন জাকের আলী।
শ্রীলঙ্কা দলে দুটি পরিবর্তন। মিলান রত্নায়েক ও ইশান মালিঙ্গার বদলে একাদশে দুনিথ ভেল্লালাগে ও দুষ্মন্ত চামিরা।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম হোসেন, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: নিশান মাদুশকা, পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), জানিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ভেল্লালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকশানা, দুষ্মন্ত চামিরা ও আসিথা ফার্নান্ডো।
হারের বৃত্ত ভেঙে সিরিজ বাঁচানোর মিশনে বাংলাদেশ
প্রথম ওয়ানডেতে ৫ রানে ৭ উইকেটের হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই রেশ না কাটতেই শনিবার আরও একটি ম্যাচ খেলতে নামছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সিরিজ বাঁচাতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের বিকল্প নেই। টানা সাত ম্যাচ জয়হীন বাংলাদেশ। আজ হারের বৃত্তটা ভেঙে সিরিজ বাঁচানোর মিশনে নামবে মিরাজ-শান্তরা। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি বাংলাদেশের সময় বেলা তিনটায় শুরু হবে।
ওয়ানডে ক্রিকেট বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের ফরম্যাট। পঞ্চাশ ওভারের খেলা ক্রিকেটাররা ভালো বোঝেন এবং ভালোই খেলেন। কিন্তু এখন সেই পছন্দের ফরম্যাটেই বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ভালো যাচ্ছে না। শেষ সাত ওয়ানডেতে জয়হীন তারা। এর মধ্যে একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়, বাকি সব ম্যাচেই দলই হেরে গেছে। ফলে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শঙ্কাজনক। আজ আরও একটি ম্যাচ খেলতে নামছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এই ম্যাচে হারের বৃত্ত ভাঙার চ্যালেঞ্জ সফরকারীদের সামনে।